ডেস্ক নিউজ : সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ এ নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতলো বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলার বাঘিনীদের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত সারাদেশ। দেশের বিনোদন অঙ্গন থেকেও ভেসে আসছে প্রশংসা, শুভকামনা।
সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু তারকারা ইতোমধ্যে সাফ জয়ীদের এই ঐতিহাসিক অর্জন নিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাদের একজন ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘অভিনন্দন বাঘিনীরা! সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক অর্জন। তোমাদের এই অর্জন শুধু দেশের জন্য নয়, পুরো বিশ্বের নারীদের জন্য এক বড় উদাহরণ।’
সাদিয়া আরও লেখেন, ‘তোমাদের দলের সাহস, দৃঢ়তা এবং অসাধারণ পারফরম্যান্স আমাদের মুগ্ধ করেছে। তোমাদের এই অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর সংগ্রাম দেশের আনাচে কানাচে থাকা প্রত্যেকটি নারীর জন্য অনুপ্রেরণার। তোমরা আবারও জ্বলন্ত উদাহরণ সৃষ্টি করেছো যে, নারীদের ইচ্ছাশক্তি থাকলে কোনো বাধাই তাদের জয় আটকাতে পারেনা। এই জয় আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দিলো “আমরা নারী, আমরাই পারি”। তোমাদের এই সাফল্য দেশের প্রতিটি মেয়ে শিশুকে স্বপ্ন দেখাবে, তাদের সাহস জোগাবে নতুন কিছু করতে। তোমাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা, সাফল্য তোমাদের বারবার ছুঁয়ে যাক। আরও একবার অভিনন্দন তোমাদের।’
এছাড়াও পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীও সাফ জয়ীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। অভিনেত্রী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে সাফ জয়ী নারী দলের সদস্য মাতসুসিমা সুমায়ার ট্রফি নিয়ে ঘুমানোর সেই ছবিটি শেয়ার করেন। সেখানে তাদের অভিনন্দন জানিয়ে মেহজাবীন লিখেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স! বাংলাদেশের মেয়েরা সাফ নারী চ্যাম্পিয়ন ২০২৪ এ বিজয়ী। অভিনন্দন মেয়েরা।’
বাঘিনীদের অভিনন্দন জানিয়ে মুখ খুলেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীও। সাফ নারী দলের সদস্যদের ট্রফি নিয়ে ঘুমানোর কিছুই ছবি পোস্ট করে নিজের অভিমত পোষণ করেছেন তিনি। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘মাস্টার লিওনেল মেসির থেকে উদ্ভাবিত স্টাইলে বাংলার বাঘিনীরা। আসুন, তাদের যথাযথ পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করি। সরকারি পুরস্কার শুধু পুরুষ ক্রিকেট দলের জন্যই হওয়া উচিত নয়, ধন্যবাদ।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যায় নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে সাফের ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০২২ সালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়েই বাংলাদেশের মেয়েরা প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছিল। আবারও সেই একই প্রতিপক্ষ এবং একই ভেন্যুতে সাবিনা খাতুনের দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতলো।