জন্মভূমি ডেস্ক : ২০১৬ সালে গাজীপুরে কথিত জঙ্গি অভিযান পরিচালনার নামে ৭ জনকে হত্যার অভিযোগে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্যানেল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ওই অভিযানে নিহতদের পরিবার শুরু থেকেই বলে আসছিলেন—এটি ছিল ‘একটি সাজানো জঙ্গি অভিযান’। পরবর্তীতে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তে উঠে আসে একাধিক প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত, তথ্য গোপন এবং হত্যাকাণ্ডের ইঙ্গিত।
রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইব্যুনালে দাবি করে, জঙ্গি অভিযানের নামে ওই ৭ জনকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছিল। ঘটনাটি ছিল ‘পূর্বপরিকল্পিত এবং রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার’।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনের নাম আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সাবেক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী ছাড়াও তালিকায় আছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন আরও চার কর্মকর্তা। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল বলেছে, প্রাথমিক তথ্যে ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী আচরণের’ প্রমাণ মিলেছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো হলো—অন্যায়ভাবে হত্যা, সাজানো অভিযান পরিচালনা, নিহতদের পরিচয় গোপন করা এবং ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার।
ট্রাইব্যুনাল তাদের দেশের অভ্যন্তরে কোথায় আছেন, তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে, নিহতদের পরিবার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করে বলেন, ২০১৬ সালের ওই অভিযানে নিহতদের জঙ্গি বলে প্রচার করা হলেও, প্রকৃতপক্ষে তারা নিরীহ ছিলেন। নিহতদের কয়েকজন শিক্ষার্থী, দিনমজুর ও দোকান কর্মচারী ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন ও মামলার নথিপত্র যাচাই করে ট্রাইব্যুনাল মনে করে, এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানি এবং সাক্ষ্যগ্রহণ প্রয়োজন।
তদন্তে উঠে এসেছে, ঘটনাটি ঘটানো হয়েছিল রাজনৈতিক নির্দেশনাকে বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে, যার ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণ গেছে এবং দেশে আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছিল।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত