By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান এখন লন্ডনে, আমিরাতে আরও ৩০০ বাড়ির সন্ধান
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জাতীয় > সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান এখন লন্ডনে, আমিরাতে আরও ৩০০ বাড়ির সন্ধান
জাতীয়তাজা খবর

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান এখন লন্ডনে, আমিরাতে আরও ৩০০ বাড়ির সন্ধান

Last updated: 2024/10/22 at 5:57 PM
স্টাফ রিপোর্টার 10 months ago
Share
SHARE

ডেস্ক নিউজ : ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। বাংলাদেশের সাবেক এই মন্ত্রী লন্ডনে ১৪ মিলিয়ন ডলারের বিলাসবহুল একটি বাড়িতে রয়েছেন। সোমবার কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার অনুসন্ধানে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান ও উল থর্নের করা ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সংযুক্ত আরব আমিরাতে নতুন করে আরও ৩০০টি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে।

সোমবার আল জাজিরার আই-ইউনিটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্রিটেনে কোটি কোটি ডলার পাচারের অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এর মাঝেই তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। যদিও সাবেক এই মন্ত্রী বর্তমানে লন্ডনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করছেন। সম্প্রতি সাইফুজ্জামান চৌধুরীকে লন্ডনের একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছে আল-জাজিজার অনুসন্ধানী টিম। ওই এলাকায় তার ৯০ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের ছয়টি সম্পত্তি রয়েছে; যা তার যুক্তরাজ্যে গড়ে তোলা সম্পদের সাম্রাজ্যের ছোট একটি অংশ।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী ব্রিটেন ছাড়াও নিজের রিয়েল স্টেট ব্যবসার সম্প্রসারণ করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, নিউইয়র্ক, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া পর্যন্ত। চৌধুরী ও তার স্ত্রীর এসব সম্পদ জব্দ করার জন্য বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

দুবাইয়ে চৌধুরীর সম্পত্তির সংখ্যা প্রাথমিকভাবে যা ধারণা করা হয়েছিল, তারচেয়েও বেশি বলে আল জাজিরার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। নতুন করে ফাঁস হওয়া ২০২৩ সালের সম্পত্তির তথ্যে দেখা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৫০টিরও বেশি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের তালিকাভুক্ত মালিক সাইফুজ্জামান চৌধুরী; যার মূল্য ১৪০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

আই-ইউনিটের কাছে আসা তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, চৌধুরীর স্ত্রী রুখমিলা জামান দুবাইয়ে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের আরও ৫০টি বাড়ির তালিকাভুক্ত মালিক। অর্থপাচারের অভিযোগে রুখমিলা জামানের বিরুদ্ধেও বাংলাদেশে তদন্ত চলছে।

২০২০ ও ২০২২ সালের দুবাইয়ে থাকা সম্পত্তির ফাঁস হওয়া ডাটায় এই দম্পতির তালিকাভুক্ত অন্য ৫৪টি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া যায়। আল জাজিরার আন্ডারকভার ফুটেজে মর্যাদাপূর্ণ অপেরা জেলায় একটি পেন্টহাউসের মালিক হওয়ার বিষয়ে গর্ব করতে দেখা যায় পলাতক এই মন্ত্রীকে। আর জমির রেকর্ডেও নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, সেখানে একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের তালিকাভুক্ত মালিক তিনি; যার মূল্য ৫০ লাখ ডলারের বেশি।

ফাঁস হওয়া নতুন তথ্য অনুযায়ী, সাবেক এই মন্ত্রী ও তার স্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০০টিরও বেশি অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে প্রায় ১৭০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন বলে ধারণা করা হয়। সামগ্রিকভাবে এই দম্পতি বিশ্বজুড়ে ৬০০টিরও বেশি সম্পত্তির তালিকাভুক্ত মালিক।

বাংলাদেশের মুদ্রা আইনে কোনও নাগরিককে বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি অর্থ দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আল জাজিরার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তার অফশোর সম্পদের ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশের কর আইন লঙ্ঘন করেছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সাবেক মন্ত্রীদের ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। দেশের কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে চৌধুরী ও তার স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে। ব্রিটেনে কয়েক মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের তদন্ত চলাকালীন এই দম্পতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছেন আদালত।

তবে সাইফুজ্জামান চৌধুরী আল জাজিরাকে বলেছেন, বাংলাদেশের বাইরে নিজের বৈধ ব্যবসা থেকে পাওয়া অর্থে বিদেশি সম্পত্তি কেনার কাজে ব্যবহার করেছেন তিনি। বছরের পর বছর ধরে তিনি এই ব্যবসার মালিক। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত শিকারে পরিণত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

এসব অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলেও রুখমিলা জামানের কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

এর আগে আল-জাজিরার আরেক ‘দ্য মিনিস্টার্স মিলিয়নস’ শিরোনামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বল হয়, যুক্তরাজ্যেই সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর (জাভেদ) ৩৬০টি বাড়ির মালিক। ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ২৬৫টি বাড়ি কেনেন। ২০২০ সালে ৮৯টি বাড়ি কিনলে মোট বাড়ির সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬০টি, যার বাজারমূল্য ৩২ কোটি ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮২৪ কোটি টাকার বেশি। সাইফুজ্জামান লন্ডনের বাইরে দুবাইয়ে ২০২০ সালের মধ্যে অন্তত ৫৪টি সম্পদের মালিক হন। যুক্তরাষ্ট্রেও তার সম্পদ আছে। সেখানে তিনি নয়টি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। এর মধ্যে পাঁচটি ম্যানহাটানসহ নিউইয়র্কের প্রধান এলাকায় এবং চারটি নদীর ওপারে নিউ জার্সিতে।

আল জাজিরার ‘দ্য মিনিস্টার্স মিলিয়নস’ অনুসন্ধান বলা উল্লেখ করা হয়, লন্ডনে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর হয়ে সব সম্পদ দেখাশোনা করেন চট্টগ্রামের রিপন মাহমুদ। সাইফুজ্জামান সিঙ্গাপুরের ব্যাংক ডিবিএস থেকে ঋণ নিয়েছেন। ওই ব্যাংকের কর্মী রাহুল মার্টের বর্ণনায়ও সাইফুজ্জামানের সম্পদের বর্ণনা উঠে এসেছে। কীভাবে তিনি বিদেশে এত সম্পদ গড়েছেন, সেই ধারণাও পাওয়া গেছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে থেকে সাইফুজ্জামান চৌধুরীকে অনুসরণ করছিল তাদের অনুসন্ধানী দল। জাভেদের বেতন (বার্ষিক) ছিল ১৩ হাজার ডলার। অথচ তিনি যুক্তরাজ্যে বিপুল সম্পদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। আই ইউনিট মন্ত্রীর বৈশ্বিক সম্পদের অনুসন্ধানে নেমে চমকে ওঠার মতো সম্পদের সন্ধান পায়। বাংলাদেশে সাইফুজ্জামানের সম্পদের উৎস তার ব্যবসা ও ইউসিবি ব্যাংকের শেয়ার।

বাংলাদেশর মুদ্রানীতি অনুযায়ী, দেশের নাগরিকেরা বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি বিদেশে নিতে পারেন না। এই মুদ্রানীতি হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতির সুরক্ষার জন্য। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, ‘আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যপকহারে কমে গেছে। কেউ বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া বিদেশে টাকা নিয়ে গেলে সেটা মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ।’

লন্ডনে বাড়িগুলো তৈরির বিষয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইফুজ্জামান ডেভেলপারদের কাছ থেকে বাড়ি কেনার জন্য বেশ কিছু কোম্পানি তৈরি করেন। ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে তিনি যুক্তরাজ্যে ২৬৫টি বাড়ি কেনেন। তার বাড়িগুলোর বেশির ভাগই বার্কলি গ্রুপের মতো শীর্ষ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কেনা।

সাইফুজ্জামানের কেনাকাটা সেখানেই থেমে থাকেনি। ২০২১ সালে ১ কোটি ৬০ লাখ ডলারে লন্ডনে আরও সম্পদ কেনেন তিনি। তার বেশির ভাগ সম্পদই ভাড়া দিয়ে থাকেন। ২০২০ সালে আরও ৮৯টি বাড়ি কিনলে মোট বাড়ির সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬০টি, যার বাজারমূল্য ৩২ কোটি ডলার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিকভাবে পরিচিত ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যে কঠোর যাচাইয়ের মুখোমুখি হওয়ার কথা। সেখানে সাইফুজ্জামান চৌধুরী কীভাবে এই যাচাইপ্রক্রিয়া অতিক্রম করেছিলেন, তা যাচাইয়ে তার একটি সম্পত্তি দেখতে যায় আল জাজিরার অনুসন্ধানী দল।

সেখানে রিপন মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের গ্রাহকের (সাইফুজ্জামানের) লন্ডনে ৩০০টি বাড়ি আছে। তিনি লন্ডনে আসেন, কয়েকটি বাড়ি কেনেন, আবার চলে যান। লকডাউনের সময় যুক্তরাজ্যে নতুন বাড়ি কেনার জন্য ২০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করেন তিনি।’

এই রিপন মাহমুদ সম্পর্কে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বক্তব্য হলো—লন্ডন ও যুক্তরাজ্যের সব সম্পত্তি রিপনের মাধ্যমেই তিনি কিনেছেন। রিপন তার প্রধান লোক। তিনি তার ভাই।

লন্ডনের একটি হোটেলে রিপন আল জাজিরার অনুসন্ধানী দলের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে আলাপচারিতায় তার বিষয়ে বোঝানোর জন্য সাইফুজ্জামান চৌধুরীর প্রসঙ্গ টানেন। তখন রিপন বলেন, ‘আমার ভালো বন্ধু সাইফুজ্জামান। আপনি যেটা আমার কাছে চাচ্ছেন, সেটাই আমি তার (সাইফুজ্জামান) জন্য করেছি।’ তার পরিচয় সম্পর্কে রিপন বলেন, ‘তিনি একজন ক্ষমতাধর মন্ত্রী। তিনি বুদ্ধিমান। তিনি বড় প্রকল্পে যান না। যখন আপনি বড় প্রকল্পে যান, কর্তৃপক্ষ সতর্ক হয়ে যায়। বড় টাকা, বড় সংখ্যা সবাইকে সতর্ক করে দেয়। আপনি বুঝতেই পারছেন কী বলছি। তিনি এক কোটি আনেন এবং বলেন, আমি নগদে কিনিনি। ব্যাংক আমাকে টাকা দিয়েছে।’

লন্ডনে অনুসন্ধানের মধ্যেই আল জাজিরা জানতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রেও সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তি আছে। সেখানে তিনি নয়টি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। পাঁচটি ম্যানহাটানসহ নিউইয়র্কের প্রধান এলাকায় এবং চারটি নদীর ওপারে নিউ জার্সিতে।

আরও কয়েক দফা সাক্ষাতের পর রিপন স্বীকার করেন, তার সবচেয়ে বড় গ্রাহক সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশ থেকে আসছেন। চার বছর আগে তার জন্য সবকিছু ঠিক করেছেন। প্রতিবছর তিনি (সাইফুজ্জামান) তার মাধ্যমে ১০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেন।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার আগে তার সঙ্গে দেখা করে আল জাজিরার অনুসন্ধানী দল। তার আগে রিপনের পরামর্শে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর পরামর্শকদের সঙ্গে দেখা করে। প্রথমেই সাইফুজ্জামানের আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করে অনুসন্ধানী দল। ওই আইনজীবী একটি কোম্পানির মানি লন্ডারিং রিপোর্টিং কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন, যার কাজ হচ্ছে কোম্পানির আইন-কানুন নিশ্চিত করা। ২০২১ সাল থেকে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানের ১০০টির বেশি ঋণের আইনের কাজগুলো করেছেন তিনি।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী তার মোট সম্পত্তির এক–চতুর্থাংশ, ৮০টির বেশি যুক্তরাজ্যের শীর্ষ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বার্কলি হোমস থেকে কিনেছেন। বার্কলি হোমসের একটি বিপণন অনুষ্ঠানে আল জাজিরার একজনকে রিপন বলেন, তার ৩০০–এর বেশি বাড়ি আছে। তিনি দুবাইয়ে এগুলো তার (সাইফুজ্জামান) জন্য কিনেছেন।

দুবাইয়ের সূত্র অনুসরণ করে নতুন আরও অনেক সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। দুবাইয়ে ২০২০ সালের মধ্যে অন্তত ৫৪টি সম্পদের তালিকাভুক্ত মালিক হন সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

এরপর রিপনকে সঙ্গে নিয়ে একদিন সাইফুজ্জামানের সঙ্গে তার লন্ডনের বাড়িতে সাক্ষাৎ করে অনুসন্ধানী দল। সেখানে সাইফুজ্জামান জানান, তিনি ব্যবসা থেকে তার সব লাভ দুবাই ও লন্ডনে বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুবাইয়ে ডাউনটাউনে আমি সেরা সম্পত্তি পেয়েছি। দুবাই মলের কাছে অপেরা এলাকায় আমার খুব সুন্দর একটি প্যান্ট হাউস আছে। আমি একটি ভিলাও কিনেছি, যার একটায় ব্যক্তিগত হ্রদ আছে। সবকিছু আছে। সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় বাড়ি আছে। ম্যানহাটানে (যুক্তরাষ্ট্র) আমার খুব সুন্দর সম্পত্তি আছে।’

বাংলাদেশ থেকে এত টাকা কীভাবে আনলেন, এ প্রশ্নের জবাবে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমার দুবাইয়ে রিয়েল স্টেট কেনাবেচার ব্যবসা আছে। দুবাই থেকে এখানে টাকা আনি। তারপর এখান থেকে একটা ঋণ নিই।’

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে। সাইফুজ্জামানের বর্তমান অবস্থান অজানা। তবে বাংলাদেশ ছেড়েছেন বলে একটি কথোপকথনে তিনি উল্লেখ করেছেন।

স্টাফ রিপোর্টার October 22, 2024
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article পদ ছাড়তে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
Next Article প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ৬ হাজারের কীর্তি মুশফিকের
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দিনপঞ্জি

August 2025
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
« Jul    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
খুলনা

খুলনার ডুমুরিয়ায় ট্রাক-ইজিবাইক সংঘর্ষে নিহত ৩

By স্টাফ রিপোর্টার 8 hours ago
জাতীয়তাজা খবর

দেশ এখন স্থিতিশীল, আমরা ভোটের জন্য প্রস্তুত : প্রধান উপদেষ্টা

By স্টাফ রিপোর্টার 8 hours ago
জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানিতে সিইসির সামনে মারামারি

By স্টাফ রিপোর্টার 1 day ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

জাতীয়তাজা খবর

দেশ এখন স্থিতিশীল, আমরা ভোটের জন্য প্রস্তুত : প্রধান উপদেষ্টা

By স্টাফ রিপোর্টার 8 hours ago
জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানিতে সিইসির সামনে মারামারি

By স্টাফ রিপোর্টার 1 day ago
জাতীয়তাজা খবর

ভিসা অব্যাহতিসহ বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ৬ চুক্তি-সমঝোতা

By স্টাফ রিপোর্টার 1 day ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?