জন্মভূমি ডেস্ক : শেয়ার বিক্রির চাপের সূচকের ওঠানামার মধ্যদিয়ে সোমবার (৩০ অক্টোবর) দেশের উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৫০ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন এবং বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধনও। ফলে সোমবার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় দেশের দুই পুঁজিবাজার লেনদেন হলো।
ডিএসইর তথ্য মতে, এদিন ডিএসইতে ৩১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৮২ হাজার ২৪১টি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডের হাত বদল হয়েছে। তাতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৪৩ কোটি ৫৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪১৩ কোটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে ৬৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৭৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৭৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ১ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে। তবে ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল জেমিনি সি ফুডের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে ছিল ফুয়াং ফুড, সোনালী আঁশ, সিভিও পেট্রোক্যামিক্যাল, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল, দেশবন্ধু পলিমার, খান ব্রাদার্স পিপি এবং সমরিতা হাসপাতালের শেয়ার।
অন্যদিকে, সিএসইর প্রধান সূচক ১২ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৯৯ পয়েন্টে। সিএসইতে ১২৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ৩৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির।
দিন শেষে সিএসইতে ৯ কোটি ৮৫ লাখ ৬৫ হাজার ৩৬৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।