জন্মভূমি রিপোর্ট: সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সামনে রেখে খুলনায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে শনিবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনও মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। সেইসঙ্গে রবিবার মধ্যরাত থেকে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ গাড়ি, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও ইজিবাইক চলাচল করতে পারবে না। নির্বাচনের দুই দিন আগে শনিবার প্রজ্ঞাপন দিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী সোমবার (১২ জুন) এই সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ৮টা থেকে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন। তবে অনুমতি সাপেক্ষে প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনি এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যটকের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল থাকবে। এর বাইরে জরুরিসেবার সঙ্গে যুক্ত যেমন; অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ কাজে ব্যবহৃত যানবাহনের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘এবার খুলনা সিটিতে মেয়র পদে পাঁচ, সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।’ মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের তালুকদার আবদুল খালেক, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের শফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের আব্দুল আউয়াল, জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতীকের এসএম সাব্বির হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দেয়ালঘড়ি প্রতীকের এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, এবার নির্বাচনে ভোটার পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন। বাকিরা পুরুষ ভোটার। ২৮৯ কেন্দ্রের এক হাজার ৭৩২টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটকেন্দ্র সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য দুই হাজার ৩১০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।