# মোংলা বন্দরের কার্যক্রম চালু হয়েছে
# খুলনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬শ’ ঘর-বাড়ি
# ৩ বিভাগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
# পানির নিচে খুলনার সড়ক ও বাড়ির নীচতলা
জন্মভ‚মি ডেস্ক
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বাংলাদেশের স্থলভাগে এসে স্থল নি¤œচাপে পরিণত হয়েছে। এরপর এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের আসামের দিকে চলে গেছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করেছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ মঙ্গলবার সকালে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বাংলাদেশের স্থলভাগে এসে নি¤œচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ক্রামান্বয়ে দুর্বল হচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করেছে। দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের বৃষ্টি থেমে গেছে। বিভিন্ন স্থানে রোদের দেখা মিলেছে ।
বজলুর রশিদ আরও জানান, সোমবার মধ্যরাতে উপক‚ল অতিক্রমরত ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং’ আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অতি দ্রæত অগ্রসর হয়ে ভোলার পাশ দিরয় বরিশাল-চট্টগ্রাম উপক‚ল অতিক্রম করে। এটি উপক‚লীয় এলাকায় বৃষ্টি ঝরিয়ে দ্রæত দুর্বল হয়ে নি¤œচাপে পরিণত হয়েছে এবং ওই সময় এটি স্থল নি¤œচাপ আকারে ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছিল। পরে ‘সিত্রাং’ স্থল নি¤œচাপ আকারে ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপর দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম কর ভারতের আসামের দিকে চলে গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে রোববার (২৩ অক্টোবর) থেকেই দেশের আবহায়া পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। উপক‚লীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়। সেই বৃষ্টি চলে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত। রংপুর বিভাগ ছাড়া মোটামুটি সারাদেশেই হালকা ও মাঝারি ধরনের এবং ভারি বৃষ্টি হয়, কোথাও কোথাও অতিভারি বৃষ্টিও হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এখনও অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপক‚লীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, ল²ীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নি¤œাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ¡াসে প্লাবিত হতে পারে।
মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
\ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ \
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাবে যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রশাসনিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। খোলা রাখা হয়েছে সার্বক্ষণিক মনিটরিং সেল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশক্রমে উপক‚লবর্তী ১৯টি জেলার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় উপক‚লীয় এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং সম্ভাব্য সব পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় উপক‚লের জনসাধারণকে দ্রæতসময়ের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া এবং আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিশ্চিতকরণে প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তা প্রদানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় উপক‚লের মানুষের জন্য নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্যসহায়তা ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে সর্বাত্মক কর্মপ্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার আহŸান জানিয়েছেন।
\ মোংলা বন্দরের কার্যক্রম চালু হয়েছে \
সিত্রাং তান্ডবের পরে পুনরায় চালু হয়েছে মোংলা বন্দরের পণ্য খালাসের কার্যক্রম। মঙ্গলবার সকালের পালা থেকে পুণরায় পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হয়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপটেন মোহাম্মদ শাহীন মজিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারনে মোংলা বন্দরে প্রায় ২৭ ঘন্টা পণ্য বোঝাই-খালাস বন্ধ ছিলো। তবে সিত্রাং এ বন্দরের কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি বলে জানান তিনি।
এদিকে বন্দরের হারবার বিভাগ সুত্রে জানা যায়, মোংলা বন্দরে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১১টি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। এর মধ্য থেকে ৩টি জাহাজ পণ্য খালাস শেষে আজ বন্দর ত্যাগ করবে। পণ্য খালাসের জন্য আরো ২টি জাহাজ আজ বন্দরে আসবে।
\ খুলনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬শ’ ঘর-বাড়ি ৬ টন মাছের ক্ষতি \
খুলনায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ১৬৫০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া ও অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে ১৮ হাজার ৪৮৩ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে। আর ১১২টি ঘেরের ৬.১৫ মেট্রিক টন মাছের ক্ষতি হয়েছে। যার মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনায় মোট বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২২৯ মিলিমিটার। এর মধ্যে রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২ মিলিমিটার এবং সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে নিরুপণ করা হয়েছে। এতে খুলনায় ১৬৫০টি ঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতির পরিমাণের প্রকৃত তথ্য পেতে আরও তিন দিন লাগবে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ঝড়ের কারণে খুলনায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ অবস্থান নিয়েছিল। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলক কম হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে কিছু ঘর, ফসলি জমি ও ঘেরের ক্ষতি হয়েছে।
\ ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত \
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে দেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইসঙ্গে ছয় হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
এনামুর রহমান বলেন, আমরা এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের আগাম প্রস্ততি নিয়েছিলাম। প্রায় দশ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসেছি। তারা সবাই আজ নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছে।’ ঘূর্ণিঝড়ে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণে কাজ চলছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তা দেবে সরকার।
\ ৩ বিভাগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ \
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়েছে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগ। সকালে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকতে দেখা যায়। গাছ ভেঙে পড়েছে। অনেক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে জমে আছে পানি। আবার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোলা আশ্রয়কেন্দ্রে ছিল মানুষ। এসব বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সোমবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এ নির্দেশনা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে কারণে এই তিন বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়, আপাতত ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সেগুলোতে পাঠদান বন্ধ থাকবে।
\ বেনাপোল-ঢাকা রুটে ১৭ ঘণ্টা ধরে বন্ধ যান চলাচল \
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নড়াইলের মাদরাসা এলাকায় বটগাছ পড়ায় ঢাকা-মাওয়া-বেনাপোল মহাসড়কে ১৭ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে গাছটি পড়ে। এরপর থেকে এই রুটে যাত্রীবাহী বাস, অ্যাম্বুলেন্সসহ শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাসুদ রানা মঙ্গলবার সকালে জানান, ঘণ্টাখানেকের মধ্যে গাছ কেটে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করা হবে।
\ ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন \
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সিত্রাংয়ের কারণে এখনও প্রায় ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন রয়েছেন। ৭০ শতাংশের মতো সন্ধ্যার মধ্যেই চালু করতে পারব। আগামীকাল বুধবার দুপুরে মধ্যেই সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উপক‚লীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আরইবির ৭২ লাখ, বিপিডিবির ৭ লাখ, ওজোপাডিকো ৬০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তার ছিড়ে যাওয়ায় পুরোপুরি মেরামত না হওয়া পর্যন্ত চালু করা যাচ্ছে। হাসপাতালসহ জরুরি সেবাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ চলছে।’
সূত্র জানিয়েছে, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিতরণ কোম্পানি ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ৩৩ কেভি ৯৩টি ফিডারের মধ্যে ৬১ টি বন্ধ হয়ে যায়। সকাল ১০টা নাগাদ ৫৬টি চালু হয়েছে।
ফরিদপুরে কিছু ফিডার দুপুর পর্যন্ত চালু করা সম্ভব হয়নি। ১১ কেভি ৩১৮টি ফিডারের মধ্যে ২৩০ বন্ধ হয়ে যায়, ইতোমধ্যেই ২০০ ফিডার চালু করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝালকাঠি অঞ্চলে। কোম্পানিটির আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দুই কোটি ৯০ লাখ টাকা।
সকাল নাগাদ ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) বড় কোন ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। গাছ পড়ে যাওয়ায় কিছু অঞ্চলে বিতরণ বিঘিœত হয়। রাতেই অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যায়, তবে কিছু অঞ্চলে জলাবদ্ধতার কারণে সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি নেমে গেলেই লাইন চালু করা হবে।
\ পানির নিচে খুলনার সড়ক ও বাড়ির নীচতলা \
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রবিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে পানি থইথই করছে খুলনায়। অবিরাম বৃষ্টিতে ডুবে যায় খুলনা মহানগরীর রাস্তাঘাটসহ অধিকাংশ বাড়ির নিচতলা। ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেছে নোংরা পানি। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
অধিকাংশ সড়ক পানির নিচে চলে যায়। সবচেয়ে বেশি পানি দেখা যায় নগরীর রয়েলের মোড়। সড়কে পানির মধ্য দিয়ে চলাচল করে বাস, ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ যানবাহন। তবে রয়েলের মোড় পানির বেশি থাকায় বিকল হয়ে পড়ে যানবাহন।
‘সিত্রাং’ স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছে
Leave a comment