জন্মভূমি ডেস্ক : বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। ভারতের দাবি, সীমান্তের অন্য পাশ থেকে ড্রোনের মাধ্যমে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় ব্যাপকভাবে অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট মোতায়েন করবে তারা। খবর দ্য হিন্দুর। ভাতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সীমান্তে অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। সীমান্তের অন্য পাশ থেকে আসা মনুষ্যবিহীন আকাশযানের মাধ্যমে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সীমানা সুরক্ষিত করার জন্য ব্যাপকভাবে অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট স্থাপন করবে নয়াদিল্লি।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) প্রশিক্ষণ শিবিরে ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় গত রোববার ড্রোন হুমকির গুরুত্ব এবং ভারতের সক্রিয় পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
অমিত শাহ বলেন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সব সীমান্তে সংবেদনশীল এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্যাপকভাবে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে ভারত।
তিনি বলেন, ড্রোনের মাধ্যমে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সীমানা সুরক্ষিত করতে বিস্তৃত অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করবে ভারত। শাহ আরো বলেন, লেজার-সজ্জিত অ্যান্টি-ড্রোন গান-মাউন্টেড ম্যাকানিজমের প্রাথমিক ফলাফল বেশ উৎসাহব্যাঞ্জক, যার ফলে পাঞ্জাবের পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে ড্রোন নিষ্ক্রিয়করণ এবং শনাক্তকরণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারতীয় একটি সংবাদপত্র দেশটির সরকারি তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের প্রায় ১১০টির তুলনায় এই বছর ২৬০টিরও বেশি ড্রোন পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত থেকে ভূপাতিত বা উদ্ধার করা হয়েছে। ড্রোন আটকানোর এই ঘটনাগুলোর বেশিরভাগই হয়েছে পাঞ্জাবে। তবে রাজস্থান এবং জম্মুতে এই সংখ্যা খুব কম।
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ২ হাজার ২৮৯ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
বিএসএফের ওই অনুষ্ঠানে অমিত শাহ পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য চলমান কম্পিহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইবিএমএস) নিয়েও আলোচনা করেছেন।
সীমান্তে ভারত অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট মোতায়েন করছে
Leave a comment