
ডেস্ক রিপোর্ট : বনবিভাগের খুলনা রেঞ্জে একই ব্যক্তি একাধারে রেঞ্জ কর্মকর্তা, কুপ কর্মকর্তা ও ষ্টেশন কর্মকর্তার দায়িত্বে থেকে ব্যাপক দূর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা কামিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের অধীন নলিয়ান ষ্টেশন কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন (এফ আর) এর বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট বনজীবি জেলে বাওয়ালীরা জানায়, ইসমাইল হোসেনের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় সুন্দরবনে নিষিদ্ধ পারসের পোনা ধরার ৮ টি ট্রলার পরিচালিত হয়েছে। খুলনার পাইকগাছা অঞ্চলের ওই বোর্ড গুলি হতে প্রতি ট্রিপে ট্রলার প্রতি ১০ হাজার টাকা হারে ২ মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আদায়ের বিনিময়ে এই অবৈধ কাজের সুযোগ করে দেওয়া হয়। এ বছর খুলনা গোলপাতা কুপে ৮৯ টি নৌকায় গোলপাতা আহরন করে বলে জানা যায়। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি নৌকায় পাস গ্রহনের জন্য সরকারী রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৪ হাজার টাকা করে উৎকোচ আদায় করা হয় এমন অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এ ছাড়া কুপে সরকারী রাজস্ব না নিয়ে নৌকা প্রতি ১৩ হাজার টাকা হারে উৎকোচ আদায় করা হয়। জানা যায় প্রতিটি নৌকায় এ মৌসুমে গোলপাতার মাঝে অবৈধভাবে গেওয়া কাঠ পরিবহন করা হয়। অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন উর্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে একাধারে রেঞ্জ কর্মকর্তা, কুপ কর্মকর্তা ও নলিয়ান ষ্টেশন কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। কিছু দিন আগে ওই নলিয়ান ষ্টেশনের মাধ্যমে সুন্দরবনে অবৈধভাবে কাকড়া আহরনে জড়িত অভিযোগে ৬১ জেলেকে আটক করে তাদের নিকট থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। তবে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি বনবিভাগের উচ্চ পর্যায়ের নজরে আসলে সেই প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার, কাঠ ও বন্যপ্রাণী পাচারে নীরব সহযোগীতার অভিযোগ বনবিভাগের বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে খুলনার সহকারী বন সংরক্ষক শরিফুল ইসলাম এবং নলিয়ান ষ্টেশন কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেনের সাথে পৃথক ভাবে কয়েকদফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মোবাইল রিসিভ না হওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত