জন্মভূমি ডেস্ক : সুন্দরবনের নিষিদ্ধ খালে বিষ (কিটনাশক) দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগে ৭ জেলে দুর্বৃত্তকে আটক করেছে বন বিভাগ। বুধবার গভীর রাতে পুর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ঝাফসি ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন এলাকার একটি অভয়ারন্য খাল থেকে তাদের আটক করা হয়। তবে জেলেদের অভিযোগ, জাফসি অফিসের বনরক্ষীরা মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের নিষিদ্ধ এলাকায় মাছ ধরতে সুযোগ করে দিয়েছে। এখন অন্য জায়গা থেকে বিষ দিয়ে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুর্ব সুন্দরবনের চাদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব জানায়, সুন্দরবনের বেশ কয়েকটি খাল রয়েছে যেখানে (অভয়ারন্য) ১২ মাসই মাছ ধরা বা আহরণ করা নিষিদ্ধ। তার মধ্যে ঝাফসি ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন একটি খাল রয়েছে। কিন্তু কিছু জেলে দুর্বৃত্ত গোপনে সেখানে প্রবেশ করে প্রতিনিয়ত বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে বলে এমন গোপন সংবাদ আসে বন বিভাগের কাছে।
তাই এমন খবরের সুত্রধরে চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব সহ কয়েকজন বন রক্ষি বুধবার রাতে ঝাফসি অভয়ারণ্য এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় জেলে দুর্বৃত্তরা বন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে মৃত সামছু সরকদারের ছেলে মিন্টু সরদার (২২), আলমগীর হোসেন’র ছেলে ইমাম হোসেন (২৩), জলিল শেশখের ছেলে শহিদ শেখ (২০), ওমর আকনজীর ছেলে হৃদয় আকনজি (২১), হাবিব হাওলাদারের ছেলে আব্দুল হাওলাদার (২৫), সাবেদ গাজীর ছেলে ইব্রাহিম গাজী (২৬), কৃষ্ণ পদ সরদারের ছেলে সঞ্জিত সরদার (২৪) সহ ৭ জনকে আটক করে বনরক্ষীরা। তাদের বাড়ি দাকোপ উপজেলার ভোজনখালী ও খুলনা কালাবগীর বিভিন্ন এলাকায়।
পরে তাদের কাছ থেকে ৩টি নৌকা, জাল, বিষ যুক্ত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও ৫ প্যাকেট ভারতীয় বিষ (কিটনাশক) জব্দ করা হয়েছে।
তবে আটক জেলেরা জানায়, বন বিভাগ থেকে পাশ পারমিট নিয়ে অন্য খালে মাছ ধরতে ছিল তারা। এসময় ঝাফসি অফিসের কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ওই এলাকায় মাছ ধরার সুযোগ করে দিয়েছে। আমাদের কাছে কোন বিষ ছিলনা, জাল ও নৌকা পাশ পারমিট ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে পৃথক মামলা দায়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত