
সাড়ে ১৯ লাখ টাকা রাজস্ব আয় বনবিভাগের
শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা : পূর্ব সুন্দরবনে এ বছর মধু আহরণের মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী মধু ও মোম আহরিত হয়েছে। মধু ও মোম থেকে বনবিভাগ সাড়ে ১৯ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার ভালো মধু পাওয়া গেছে বলে মৌয়ালরা জানিয়েছেন।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবছর ১৫ মার্চ থেকে আগাম মধু আহরণ মৌসুম শুরুর ঘোষণা করেছিলো বনবিভাগ । ঐ সময়ে বনে মধু পাওয়া যাবেনা আশংকায় মৌয়ালরা বনে যায়নি। আগের নিয়মে মৌয়ালগণ মধু সংগ্রহের জন্য ১ এপ্রিল গভীর সুন্দরবনের গন্তব্যে রওয়ানা হয়ে যায়। ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মৌয়ালরা সুন্দরবনের গভীরে ঘুরে ঘুরে মধু সংগ্রহ করেন।
শরণখোলার বগী গ্রমের মাহাবুল হোসেন, শরণখোলা +গ্রামের মৌয়াল রতন হাওলোদার জানান, এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আশানুরুপ বেশী মধু পাওয়া গেছে। তারা দীর্ঘ ২০/২৫ বছর ধরে সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করে আসছেন। প্রতিবার সুন্দরবনে যাত্রায় তাদের ৫০/৬০ হাজার টাকা খরচ করে বনে যেতে হয় গত বছর আশানুরুপ মধু না পাওয়ায় লোকসান হয়েছে। এ বছর তাদের লোকসান কিছুটা হলেও পুশিয়েছে বলে ঐ মৌয়ালরা জানিয়েছেন ।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, এবছর সুন্দরবন থেকে ৮ শত কুইন্টাল মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৬২ কুইন্টাল মধু এবং এ থেকে ১৩ লাখ ৮০ হাজার ৮শ টাকা রাজস্ব এ ছাড়া ২৫০ কুইন্টাল মোম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২৫৮ কুইন্টাল মোম সংগ্রহ হয়েছে । মোম থেকে ৫লাখ ৬৯ হাজার ৫৮০ টাকা রাজস্ব আয় করেছে সুন্দরবন বিভাগ। এ বছর সময় মত গাছে ফুল ফোটা এবং আবহাওয়া ভালো থাকাসহ বনবিভাগের নজরদারীর কারণে মৌয়ালরা তাদের প্রত্যাশিত মধু পেয়েছে বলে ডিএফও জানিয়েছেন।