By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: সুন্দরবনে কষ্টে গাঁথা বনজীবীদের জীবন
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > সাতক্ষীরা > সুন্দরবনে কষ্টে গাঁথা বনজীবীদের জীবন
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সুন্দরবনে কষ্টে গাঁথা বনজীবীদের জীবন

Last updated: 2024/12/10 at 12:20 PM
করেস্পন্ডেন্ট 10 months ago
Share
SHARE

সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : রয়েল বেঙ্গল টাইগার আর চিত্রা হরিণের বিচরণ ক্ষেত্র সুন্দরবন। যেখানে গাছে গাছে লাফিয়ে বেড়ায় বানরের দল। ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী দাপিয়ে বেড়ায় স্থলে আর কুমিরসহ ২৯১ প্রজাতির মৎস্য সম্পদ লোনা পানিতে সাতরায়। ম্যানগ্রোভ এই বনের বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদসহ জীববৈচিত্র আহরণ করে যারা জীবীকা নির্বাহ করে। নতুন বছরের শুরুতেও যেন তাদের কষ্টের গল্প বাকি রয়ে যাচ্ছে। তারা বাধ্য হয়ে পেশা পরিবর্তন করছে দু’বেলা দুমুঠো ভাতের আশায়।
জানা যায়, জীববেচিত্র্যে ভরপুর সুন্দরবনে বর্তমানে ১২৫টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, ২ লাখ হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী, সুন্দরীসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড ও ৩০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। এই ম্যানগ্রোভ বনের ৩টি এলাকা ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট। এছাড়া সুন্দরবনের মধ্যে ১ হাজার ৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জলভাগে কুমির, ৬ প্রজাতির ডলফিনসহ ২৯১ প্রজাতির মাছ রয়েছে। অক্সিজেনের অফুরন্ত ভাণ্ডার সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটর। সুন্দরবনের এই অফুরন্ত সম্পদের ওপর নির্ভর করে যারা জীবীকায়ন করে তাদেরকে এক কথায় বনজীবী বলে। এছাড়া সুন্দরবনের গাঁ ঘেষে যেসব এলাকায় রয়েছে। ওইসব এলাকায় বসবাস করে অনেক মুন্ডা সম্প্রদায়ের মানুষ। তারাও তিন বেলার আহারের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে। অনেকে আবার জীবীকার তাগিদে গ্রাম ছেড়ে ছুটছেন বিভিন্ন শহরে। হচ্ছেন পরবাসি। ফলে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে চিরায়ত একটি পেশা। এই বনজীবী এবং মুন্ডা সম্প্রদায়ের পুরুষরা সুন্দরবনে গোলপাতা কাটা, কাঁকড়া ধরা আর মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করেন। শিশুরাও তাদের সঙ্গে কাজে যোগ দেয়। আর নারীরা সংসারের কাজ করে চিংড়ি পোনা সংগ্রহে ব্যস্ত থাকেন। চিংড়ি পোনা সংগ্রহ করতে নদীর পাড়ে অধিকাংশ সময় থাকতে হয় এই নারীদের। মেয়েশিশুরা থাকে মায়ের সহযোগী হয়ে। আবার পেটের টানে প্রয়োজনে নারীরা কখনও কখনও নৌকায় চেপে সুন্দরবনেও যান মাছ ধরতে।
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন বিস্তীর্ণ এলাকা বলা হয় এই উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে প্রায় ৩০ হাজার জেলে বাওয়ালি ও মৌয়ালি তাদের জিবিকা পশ্চিম সুন্দরবনের উপর। কিন্তু শান্তিতে নেই কেউ কারন বনের বনদস্যু ও এক শ্রেণির জেলেরা সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগ করে নদী খালের মাছ কাঁকড়া একপ্রকার নৃধন করে দিয়েছে সে কারণে অতি কষ্টে তাদের জীবন চলছে। অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিয়ে বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে ইট ভাটা গার্মেন্টস নাইট গার্ড ও ঢাকায় রিকশা চালানো কাজ বেছে নিয়েছে। শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের আব্দুল মাজেদের পুএ শফিকুল ইসলাম ও মৃত্যু তালেব গাজির পুএ নুরুল আমিন ও তার ভাই নুর হোসেন সুন্দরবনের আয়ের আশায় আশায় বসে থেকে এনজিওর রিনের বোঝা টানতে না পেরে সপরিবারে ঢাকায় এসে নাইট গার্ড এর চাকরি করছে। এদের মতো অনেকেই সুন্দরবনের আয় ছেড়ে দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন পেশায় জড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। এক সময় সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের ৪ টি স্টেশনে ২৫ হাজার বি এল সি ছিল তা বছর বছর কমে এখন বর্তমান ২৮০০ মাছ কাঁকড়া ধরার বি এল সি রয়েছে। আর বনোজিবিরা সব ভিন্ন পেশায় ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে জীবন জীবিকার তাগিদে।
খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রা এবং দাকোপ। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষের প্রধান পেশা সুন্দরবন ভিত্তিক। সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রার মঠবাড়ি, কাশিয়াবাদ, ৪ নম্বর কয়রা, ৫ নম্বর কয়রা, ৬ নম্বর কয়রা, পাতাখালী, কাটকাটা, গাববুনিয়া, মদিনাবাদ, কাশির হাটখোলা, ঘড়িলাল, চরামুখা, শাকবাড়িয়া, হরিহরপুর, গাতিঘেরি, বীনাপানি, জোড়শিং, আংটিহারা ও গোলখালী গ্রামে একই চিত্র। তবে জেলার দাকোপ উপজেলায়ও বনজীবীরা বেঁচে থাকার লাড়ায়ের চিত্র একই। এইসব এলাকার মানুষের বেঁচে থাকার জন্য এখনও বনের সম্পদের ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে। তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আর প্রাকৃতিক নানা কারণে বনজীবীরা এখন আর বনে গিয়ে সম্পদ সংগ্রহ করতে পারছেন না। ফলে এখানে বসবাসরত বনজীবীদের টিকে থাকা কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এসব এলাকার ৯০ শতাংশ মানুষই বাপ-দাদার আমল থেকেই সুন্দরবনের সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখন তাদের বছরের একটা বড় সময়ই কর্মহীন থাকতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অনেকেই বনের কাজ ছেড়ে মাটিকাটা, নদীভাঙন রোধে ব্লক বানানো, বালুর বস্তা নদীতে ফেলাসহ নানা কাজ করছে। তবে সেখাইের প্রাপ্ত পারিশ্রমিকে চলে না সংসারে চাকা।
কয়রা উপজেলার কাটকাটা এলাকায়র অবনী মন্ডল জানান, বাদায় (বনে) গিয়ে আর পেট চলে না। মাঝে মাঝে শহরে যাই কাজ করতে। কিন্তু সেখানে মন টেকে না। বাদায় মন টানে। তাই আবার বাপ দাদার পেশায় ফিরে আসি। আয় না থাকলে, গাঙ (নদী) পাড়ে বসে বাদার দিকে তাকায় থাকি। কি করবো। কোন তাল পাইনা।
একই উপজেলার ৫ নম্বর কয়রা এলাকার শাহাবাজ আলী জানান, বাদা ছেড়ে যাবো কনে? নদীতে পোনাও তেমন পাচ্ছি না। তারপর আবার নদীতে গেলে ফরেষ্টাররা তাড়িয়ে দেয়। তবু পড়ে আছি সুন্দরবনের মুখের দিকে তাকিয়ে।
জেলার দাকোপ উপজেলার মোজামনগর বরইতলা খেয়াঘাট এলাকায় আলেয়া আক্তার। তিনি জানান, এই বনকে ভালবাসি বলেইতো একমাত্র ছেলের নাম রাখছি মধু। ওর বাপ প্রতি বছর বনে যায় মধু কাটতে। আর আমি নদীতে চিংড়ির পোনা ধরি। ছেলেকে স্কুলে পাঠাই। পড়ালেখা শিখিয়ে সে যেন চাকরী-বাকরি করে। আমাদের মতো কষ্টের জীবন যেন তার আর না হয়। আমরাতো দুবেলা দুমুঠো ভাতের জন্যি বাঘের মুখে পড়ে থাকি। ছেলেটা যেন ভাল থাকে।
বিভাগীয় রনরক্ষক (সুন্দরবন পশ্চিম) সরোয়ার আলম জানান, সুন্দরবন এখন কঠোর নিরাপত্তা বেস্টনির মধ্যে রয়েছে। কাঠ চুরি বা বনের মধ্যে কোনও ধরণের অপরাধের সুযোগ নেই। তাই পাশ পারমিট ছাড়া কোনও লোকই এখন বনে যেতে পারে না। পাস পারমিট নিয়ে বনে যাওয়া বনজীবীরা নির্বিঘ্নেই অনুমোদিত কাজ করতে পারে। বন প্রহরীরা প্রতিটি এলাকায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে আমরা প্রকৃত বনজীবী এবং উপজাতি বা মুন্ডা সম্প্রদায়ের জন্য পাস পারমিটে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি।

করেস্পন্ডেন্ট December 10, 2024
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article কেশবপুরে মডার্ণ হাসপাতালের মালিক,ডাক্তারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা
Next Article পিরোজপুরের কালিকাঠী রাণীপুর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দিনপঞ্জি

October 2025
S M T W T F S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
« Sep    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
তাজা খবরসাতক্ষীরা

ভোমরা স্থলবন্দরকে ‘কাস্টমস হাউজ’ ঘোষণা, বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত

By জন্মভূমি ডেস্ক 3 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

লোকালয়ের প্লাস্টিক বর্জ্য সুন্দরবনে, যায় মাছের পেটেও

By জন্মভূমি ডেস্ক 4 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার সুবিধাবঞ্চিত নারীরা শপিং ব্যাগ তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে

By করেস্পন্ডেন্ট 5 hours ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

তাজা খবরসাতক্ষীরা

ভোমরা স্থলবন্দরকে ‘কাস্টমস হাউজ’ ঘোষণা, বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত

By জন্মভূমি ডেস্ক 3 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

লোকালয়ের প্লাস্টিক বর্জ্য সুন্দরবনে, যায় মাছের পেটেও

By জন্মভূমি ডেস্ক 4 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার সুবিধাবঞ্চিত নারীরা শপিং ব্যাগ তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে

By করেস্পন্ডেন্ট 5 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?