সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : ব্রিটিশের রাজত্বর আমল থেকে আজ পর্যন্ত সুন্দরবনে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে পাস পারমিট সমাপনে অতিরিক্ত ঘুষ বাণিজ্য করতেন বন রক্ষীরা দীর্ঘদিন পরে বরফ গল্লেন প্রতিটি মৎস্যজীবীকে সুন্দরবন থেকে ফিরে এসে পাস পারমিট সমর্পণের পরে সিটি পাস অথবা পাস সই করতে কত টাকা বন বিভাগ গ্রহণ করলেন তার সিটি বাস অথবা রশিদ দিবেন এখন থেকে,, সকালে মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে এই তথ্য জানান কদমতলা স্টেশনের সুযোগ্য স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলায়মান হোসেন, প্রাপ্ত তথ্য জানা যায় দুজনের এক সপ্তার মাছের পাশে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা সরকারি রাজস্ব আসে তার পরিবর্তে বনরক্ষীরা জেলেদের কাছ থেকে নিতেন ৭০০ টাকা থেকে বারোশো টাকা পর্যন্ত, এক সপ্তাহের কাকড়ার পাশে সরকারি রাজস্ব আসে ২৫০ টাকা সেখানে বনরক্ষীরা কাঁকড়া আহরানকারীদেরকাছ থেকে নিতেন ৭০০ টাকে ৮শত টাকা ফাঁস জালে চারজনের এক সপ্তার সরকারী রাজস্ব আসে সাত থেকে আট শত টাকা সেখানে বনরক্ষীরা জেলেদের কাছ থেকে আদায় করেন দুই হাজার থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। এই অনিয়ম সুন্দরবনের প্রতিটি স্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে যার কারণে নাজেহাল বনজীবীরা অবশেষে এর অবসান ঘটালেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ সোলায়মান হোসেন সকালে তার মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন প্রতিটি মৎস্যজীবী কাঁকড়া আহরণকারী মৌয়ালি প্রত্যেককে পাস সমর্পণের পরে সিটি পাস অথবা পাস সমর্পনে কত টাকা গ্রহণ করা হলো তার রশিদ দেওয়া হবে, তার এই বক্তব্যের পরে জেলে বাওয়ালি সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।