
শেখ হাসান আল মাহমুদ, শরণখোলা : পূর্ব সুন্দরবনে চলছে বনরক্ষীদের সাড়াশি অভিযান। অভিযানের মধ্যেও থেমে নেই অবৈধভাবে বিষ দিয়ে মাছধরা। চলমান অভিযানে গত দুই মাসে আটক হয়েছে ৭৬ জন, উদ্ধার হয়েছে ৪২ কেজি হরিণের মাংস, বিষ দিয়ে ধরা চিংড়িসহ বিপুল পরিমাণ হরিণ ধরা ফাঁদ। এ সময় জব্দ করা হয়েছে ৫৩ টি ট্রলার ও নৌকা, মামলা হয়েছে ৪২টি।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবনে হরিণ শিকার ও বনজ দ্রব্য পাচার প্রতিরোধে গত দুই মাস পূর্বে সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে বনরক্ষীদের সাড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। বনরক্ষীদের অভিযানে সুন্দরবনে রেকর্ড পরিমাণে উদ্ধার হয়েছে হরিণ ধরা নাইলনের ফাঁদ ও বিষ যুক্ত চিংড়ি মাছ। সবচেয়ে বেশি চিংড়ি জব্দ করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাইা)। এ দিন সুন্দরবনের জোংড়া টহল ফাঁড়ির বড় বস্তা খালে ৬টি ডিঙ্গি নৌকা আটক করে বনরক্ষীরা। আটক নৌকা থেকে তিন মণ বিষ যুক্ত চিংড়ি ও ৫ বোতল কীটনাশক জব্দ করা হয়। মে ও জুন মাসে শরণখোলা, চাঁদপাই এই দুই রেঞ্জে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে ৮৬ টি। এ সময় ৪২ টি মামলায় আসামী হয়েছে ৭৬ জন। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩টি মাথা সহ ৪২ কেজি হরিণের মাংস, হরিণধরা ফাঁদ উদ্ধার হয়েছে ২০৬৫ টি। বিষ দিয়ে ধরা ৪৪৫ কেজি চিংড়িসহ জব্দ করা হয়েছে ৫৩টি নৌকা, ট্রলার ও ৫৩২ টি নিষিদ্ধ কাকড়া ধরা চারু। বর্তমানে সুন্দরবনে প্রবেশ ও মাছ ধরায় তিনমাসের নিষেধাজ্ঞা জারী রয়েছে। এরমধ্যে এক শ্রেণীর জেলে বনবিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আধারে সুন্দরবনে গিয়ে খালে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ ধরছে।
পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করীম চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনে দুই মাসের সাড়াশি অভিযানে হরিণ শিকার অনেকটা প্রতিরোধ করা গেছে। কিছু অসাধু লোক বনবিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে কীটনাশক দিয়ে মাছ ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এদের ধরার জন্য বনরক্ষীদের অভিযান আরো জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে ডিএফও জানিয়েছেন।