মোঃ এজাজ আলী : অনুকূল আবহাওয়া ও পরিবেশ থাকায় সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। করোনার দুই বছর সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।এজন্য দেশ-বিদেশের পর্যটকরা প্রবেশ করতে পারেননি সুন্দরবনে। তবে চলতি বছর সুন্দরবনে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। দেশ ও বিদেশের ভ্রমণ পিপাসুরা ভিড় জমাচ্ছেন সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্টে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, গত দুই বছরের প্রভাব কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। সুন্দরবনে ঘুরতে আসা মাহাবুব নামের এক দর্শণার্থী জানান, শরীয়তপুর থেকে ৪৫ জনের একটি বহর নিয়ে সুন্দরবনে ঘুরতে এসেছেন। সুন্দরবনের নান্দনিক পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তারা। করোনার আগে তাদের পরিকল্পনা ছিল সুন্দরবনে আসার, তবে আসা হয়নি। পরিবার, বন্ধু ও আত্নীয়-স্বজনদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন তারা। রবিউল ইসলাম নামের আরেকজন জানান, যশোরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৯০ জনের বহর নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন তারা। সুন্দরবনের নান্দনিক পরিবেশ ও অন্যান্য জীবজন্তু দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তারা। বানর, হরিণ, কুমিরসহ অন্যান্য প্রজাতির জীবজন্তু দেখেছেন তারা। সব মিলিয়ে সুন্দরবনের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক বেশি পর্যটনমুখী হয়েছে বলে জানান তারা। তবে এখানকার ট্রলারের ভাড়া অনেক বেশি । সুন্দরবন সংলগ্ন আকাশনীলা ইক্যো ট্যুরিজমের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারের বেশি দর্শণার্থী এই ইক্যো ট্যুরিজমে প্রবেশ করেছেন। যেটা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। করোনাকালীন সময়ে দুই বছর পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় এ বছর পর্যটকদের সংখ্যা তুলনা মূলকভাবে অনেক বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরো দু’মাস এ পরিস্থিতি বিরাজ করবে। সাতক্ষীরা রেঞ্জের সুন্দরবন কলাগাছী ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রের ফরেস্টার আসাদুর রহমান বলেন, অক্টোবর মাস থেকে জানুয়ারী পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার দর্শণার্থী কলাগাছি ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন। শুক্রবার ও শনিবার পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায় কয়েকগুন। প্রতিদিন গড়ে ১৪০০ থেকে ১৫০০ দর্শণার্থী সুন্দরবনের কলাগাছি কেন্দ্র দিয়ে প্রবেশ করে থাকেন।