
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর: কোন কায়দায় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর সীমাহীন দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য নানা বিধি অনিয়ম গনমাধ্যমে লিখে ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরেও কোন প্রকার বন্ধ হচ্ছে না। বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে ঘুষ বাণিজ্য সহ তার নানা বিধি অনিয়ম অভিগ্য মহলের অভিমত মনে হয় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর বাপ দাদার সম্পদ। ঠিক সরকার যখন কোটা আন্দোলন ও জরুরি অবস্থা নিয়ে কঠিন সময় পার করছেন ঠিক তখনই এই সুযোগ টা কাজে লাগিয়ে সহকারী বন সংরক্ষক উৎকোচ গ্রহন আর সীমাহীন দুর্নীতিতে মেতে উঠেছে।এর সাথে রয়েছে কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের প্রায় ২৫০০ মৎস্য ও কাঁকড়া আহারণ কারি বিভিন্ন জলাশয়ে অবস্থান করে বিষ প্রয়োগ সহ নানা ভাবে মাছ ও কাঁকড়া আহারণ করছে। পশ্চিম সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা গাবুরা ইউনিয়নের সোলাইমান, আব্দুল আজিজ, মতিয়ার, সামছুর, মিজান, আয়ুব আলী, হান্নান ও কাওছার। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের জবেদ আলী, মনিরুর জামান, খলিলুর রহমান, আব্দুল কাদের, দিদার হোসেন,আবু বকর, আজিবর রহমান, জামাল হোসেন ও মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের লিয়াকত আলী, আব্দুল আলীম,মোজাম হোসেন, রাশিদুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, আব্দুর রশিদ, আমিনুর রহমান এই প্রতিবেদককে জানান পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছি,পশুর তলা,টাটের ভারানী, মালঞ্চ নদী,ইছামতী নদী,মাদার নদী, রায় মঙ্গল নদী,শুপদে,গুবদে,লুচোখালী,দারগাং, কালীঘাটা, আঠারো ব্যাকী,খোপরা খালি,লটাব্যকি,ইলশেমারী, তালপট্টি,চামটা,চোরা মেঘনা,কালির চর, পুষ্পকাঠি,বাটাঙের চর,দোবেকি,ফিরীঙে,উলোবড়ী, রামেশ্বর, হাঁড়িভাঙ্গা, হাঁসখালি, বাঁশখালী,চালতেবাড়িয়া, ঝিঙ্গাবাড়িয়া, হাতি ভাঙ্গা সহ সুন্দরবনের বিভিন্ন খাল জলাশয়ে শত শত নৌকা মৎস্য ও কাঁকড়া আহারণ করছে।এর মধ্যে অনেকেই বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করছে। উল্লেখ্য সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা জেলেরা জানান ১লা জুন হইতে তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে সব ধরনের প্রবেশ অধিকার সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ কিন্তু আমরা নিজ নিজ স্টেশন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ১৫ দিনে ৫০০০ করে টাকা দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ মাছ ও কাঁকড়া আহারণ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছি। তাঁরা আরও জানান এই টাকার প্রতিটি নৌকায় ১০০০ টাকা পায় সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী, প্রতি নৌকায় স্টেশন কর্মকর্তা পায় ১০০০ টাকা, স্মার্ট টিম প্রতি নৌকায় পায় ১৫০০ টাকা,আর টহল ফাঁড়ী গুলো পায় বাকী ১৫০০ টাকা। সুন্দরবনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বন প্রহরী জানান সুন্দরবনে এক সপ্তাহ মাছ কাকড়া আহরণ করলে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা রাজস্ব আসে। কিন্তু সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর নির্দেশে প্রতি নৌকায় নেওয়া হয় ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। তিনি আরও জানান প্রতি বছর পহেলা জুলাই ৩১শে জুলাই পর্যন্ত সুন্দরবনে প্রবেশের বিএলসি নবায়নে ৩৪.৫০ পয়সা স্থলে নেওয়া হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের ৭৫ বছর বয়স্ক জিহাদ আলী ও ৮৬ বছর বয়স্ক আকবর আলি এই প্রতিবেদককে জানান বাবা এতো ঘুষখোর ও দূর্নীতি বাজ রেঞ্জ কর্মকর্তা আর কখনো চোখে পড়েনি।একই এলাকার সমাজ সেবক মোস্তাফিজুর রহমান জামান ব্রিটিশদের আমল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত সুন্দরবনের কর্মকর্তারা এই দূর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য করে আসছে। তবে এই রেঞ্জ কর্মকর্তা এদের কাছ থেকে ঘুষ বাণিজ্যর চ্যাম্পিয়ন। বনমন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জরুরি ভিত্তিতে বন বিভাগের এই দূর্নীতি বন্ধ করতে হবে তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এক ধাপ এগিয়ে যাবে। সম্প্রতি সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী ও কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গত ১২ ই জুলাই থেকে এই প্রতিবেদক খবর প্রকাশ করে আসছে।এক পর্যায়ে এই প্রতিবেদককে মেনেজ করার জন্য সহকারী বন সংরক্ষক ও কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ১৫ ই জুলাই সন্ধ্যা কদমতলা স্টেশন থেকে দুই বনরক্ষী যথাক্রমে মাসুদ রানা ও আতিয়ার রহমান ৩০০০ টাকা নিয়ে এই প্রতিবেদকের বাসায় যান।এই প্রতিবেদক ঐ টাকা গ্রহণ না করে সরকারি নিতি মালা অনুযায়ী চলার কথা বলে তাদের ফিরিয়ে দেয়।এ খবরটি ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় পরের দিন ১৬ই জুলাই সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী ও কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের নির্দেশে ফরেস্টের নিয়োজিত দালাল আমজাদ, আজিবর, আকবর,ও রফিকুল ইসলামের সন্ত্রাসী বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশে গুরুতর জখম করে।