
ডেস্ক রিপোর্ট : সুন্দরবনের আলোরকোলে রাসপূজা উপলক্ষে খুলনা রেঞ্জের সম্পদ রক্ষায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। এ বছর ৩ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর তিন দিনব্যাপী আলোরকোলে অনুষ্ঠিত হবে রাসপূজা।
হাজার হাজার পুণ্যার্থীর আগমনে রাসপূজা হয়ে উঠবে উৎসবমুখর। তাই রাসপূজাকে কেন্দ্র করে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের খুলনা রেঞ্জের উদ্যোগে বনজ সম্পদ রক্ষায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
এ বছর ৩ নভেম্বর থেকে তিন দিনের জন্য শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের রাসপূজায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করবে বন বিভাগ। এ লক্ষ্যে ২৬ অক্টোবর থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
জানা গেছে, প্রতি বছর কার্ত্তিক-অগ্রহায়ণের শুক্লপক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ পার্থিব জীবনের কামনা-বাসনা পূরণের লক্ষ্যে সুন্দরবনের শেষপ্রান্তে-বঙ্গোপসাগরের তীরে দুবলারচরে এক নিবিড় পরিবেশে হাজির হন। সেখানে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র স্নান করে পবিত্র হয়ে ভগবানের কাছে আরতি জানান সনাতন ধর্মের লোকজন। অসংখ্য হিন্দু নর-নারী গঙ্গাসাগরের মেলার মতো তীর্থস্থান মনে করে এই রাসপূজায় উপস্থিত হন।
খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. শামীম রেজা মিঠু বলেন, রাসপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। স্টেশন কর্মকর্তা ও টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের রাসপূজা শুরুর আগে থেকে টহল জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো হয়রানি ছাড়াই সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের (ডিএফও) এজেডএম হাছানুর রহমান বলেন, এবার রাসপূজায় নির্বিঘ্নে যাতে তীর্থযাত্রীরা যেতে পারেন তার জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। রাসপূজাকে কেন্দ্র করে সুন্দরবনে অভিযান পরিচালনা করার জন্য কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে।

