শেখ হাসান আল মাহমুদ, শরণখোলা : পূর্ব সুন্দরবনের আগুনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। প্রতিবেদনে কমিটি আগুনের সম্ভাব্য কারণ ও প্রতিকারের বিষয়ে কয়েকদফা সুপারিশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এবারের আগুনের ঘটনা নিয়ে গত ২১ বছরে সুন্দরবনে ২৪বার আগুন লেগেছে। সুন্দরবন বিভাগ সূত্রে জানা যায়,গত ২২ মার্চ পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর ষ্টেশনের কলমতেজী ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির টেপারবিল এলাকায় বনে আগুন জ্বলে ওঠে। বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস দুদিনের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণের একদিনের মাথায় টেপারবিলের এক কিলোমিটার দুরে ধানসাগর টহল ফাঁড়ির অধীন শাপলারবিল তেইশেরছিলার বনে নতুন করে আগুন জ্বলে ওঠে।এখানের আগুনের ব্যপকতায় পানির অভাবে আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয় বনরক্ষী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। অগ্নিকান্ডের স্থলের তিন কিলোমিটার দুরে সরু হয়ে যাওয়া ভোলা নদী থেকে পানির পাইপ টানতে হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ও বনরক্ষীরা ৬দিনের বিরামহীন প্রচেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আগুনে সুন্দরবনের ৬ একর বনভূমির লতাপাতা,গুল্ম,ও সুন্দরীসহ বলা গাছ পুড়েছে।আগুনের কারণ ও প্রতিরোধে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা ( এসিএফ) দীপন চন্দ্র দাসকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির অন্য দই সদস্য হলেন, ধানসাগর ফরেষ্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা ফরেষ্টার বিপুলেশ্বর দাস,ও ধানসাগর ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। গঠিত এই তদন্ত কমিটি গত ৭ এপ্রিল বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা ( এসিএফ) দীপন চন্দ্র দাস বলেন, আগুনের সম্ভাব্য কারণ ও প্রতিকারে করনীয় বিষয়ে কয়েকটি সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ( ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করীম বলেন, সুন্দরবনে আগুনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। প্রতিবেদনে মৌয়ালী ও জেলেদেরদ্বারা আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে বলা হয়েছে। আগুন প্রতিরোধে ভোলা নদী পুনঃ খনন করে নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা, বনের বলাকাঠ কাটার পাশপারমিট প্রদান, বনের পাহারা জোরদারকরণসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে বলে ডিএফও জানিয়েছেন।
সুন্দরবনে ২১ বছরে ২৪ বার আগুন: তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল

Leave a comment