জন্মভূমি রিপোর্ট : ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে বাতাসের তীব্রতা বাড়তে থাকায় জেলার নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে আতঙ্কও বাড়ছে। অনেকেই তাদের গবাদিপশু নিয়ে সাইক্লোন সেল্টার গুলোতে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। এদিকে রেমালের প্রভাবে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিল হয়েছে। এছাড়া রবিবার সকালে ৯টার দিকে রেমালের প্রভাবে মোংলার পশুর নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে মোংলা ইপিজেডের ১০ শ্রমিক আহত হলেও নিহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া মোংলা বন্দরের পণ্য ওঠানামাসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জেলায় ১০ নং মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। আজ সন্ধা বা রাতে ঘূর্ণিঝড়রেমাল উপকূলীয় অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছে মোংলা আবহওয়া অফিস।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় বাগেরহাটে ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি নদী তীরবর্তী উপজেলা গুলোতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে গুলোতে ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া ৩ হাজার ৫শ ৫ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ৮৮টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে ১০টি কন্টোল রুম। বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ৬৪৩ মেট্রিকটন চাল ও ৫লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। জেলার ৯টি উপজেলার সকলউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেয়াহয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলের পাশাপাশি উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেরিবাধ এলাকায়গুলো বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত