জন্মভূমি ডেস্ক : কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাড়ির সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে দুই সন্তানের মৃত্যুর পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন তাদের বাবা আনোয়ার হোসেনও। বুধবার (৯ আগস্ট) রাত সোয়া ২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৫ বছর বয়সী আনোয়ারের মৃত্যু হয়।
এর আগে রাত ১১টার দিকে ভেওলা মানিকচর (বিএমচর) ইউনিয়নের দক্ষিণ বহদ্দারকাটা এলাকায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে মারা যান দক্ষিণ বহদ্দারকাটা গ্রামের আনোয়ারের দুই ছেলে। তারা হলেন- শাহাদাত হোসেন (৪৯) ও শহিদুল ইসলাম (২২)।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টির প্রভাবে সৃষ্ট বন্যার পানি প্রবেশ করেছিল আনোয়ার হোসেনের দোতলা বাড়িতে। পানি নেমে যাওয়ার পর বুধবার রাত ১১টার দিকে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নামেন আনোয়ার হোসেনের দুই ছেলে শাহাদাত ও শহিদুল। সেপটিক ট্যাংকটির ঢাকনা খুলে ভেতরে ঢোকার পর দুজন বিষাক্ত গ্যাসের কারণে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন আনোয়ার হোসেনও ভেতরে ঢুকলে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত উদ্ধার করে তাদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাহাদাত ও শহিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন। আনোয়ার হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ২টার দিকে তিনিও মারা যান।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সিরাজুম মুনির বলেন, সেপটিক ট্যাংক দীর্ঘদিন ঢাকনাবদ্ধ থাকায় ভেতরে এক ধরনের বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ঢুকে পরিষ্কার করার সময় অক্সিজেনের অভাবে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
ওসি জাবেদ মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত