জন্মভূমি ডেস্ক : সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে সোনালি আঁশ পাট আমাদের সোনালি স্বপ্ন দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জুট প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (জেপিবিপিসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে পাটজাত পণ্যের রফতানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের ‘বর্ষপণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এই সম্ভাবনাময় খাতের উন্নয়নকে আরও বেগবান করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘জুট প্রোডাক্টস বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল’ গঠন করেছে।
পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদনে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, ‘বর্তমানে পাটের উৎপাদন ও পাটপণ্য ব্যবহার বেড়েছে। অনেকে পাট ও পাটপণ্য উৎপাদন এবং রফতানি করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি রাষ্ট্রদূতকে পাটজাত পণ্য প্রদর্শন এবং বাজার সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। এর ফলে পাট নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে।’
দেশে পাট শিল্পের পুনরুজ্জীবন এবং আধুনিকায়নের ধারা বেগবান করার পাশাপাশি পাটজাত পণ্যের রফতানি বৃদ্ধিতে জেপিবিপিসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রফতানি সম্ভাবনাময় খাতগুলোর উন্নয়নে বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি) ইতোমধ্যে সাতটি খাতভিত্তিক কাউন্সিল গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পাট খাতের বৈশ্বিক রফতানি আয়ের ৭২ শতাংশ এখন বাংলাদেশের দখলে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে কেবল ব্যাগের চাহিদা ১০ কোটি থেকে ৭০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। অন্যান্য পাটপণ্যের চাহিদা রয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে পাট ও পাট পণ্য রফতানিতে প্রায় ১১৩ কোটি মার্কিন ডলার আয় হয়েছে।’
পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পাটের ব্যাগ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে। যদিও পলিথিন ব্যাগের তুলনায় পাটের ব্যাগের দাম একটু বেশি, তবে পরিবেশবান্ধব।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বিজনেস কমিশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সেক্টরের অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধিরা।