
জন্মভূমি ডেস্ক : ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২৯ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষক, ২১ শিক্ষার্থী ও পাঁচজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। অপরদিকে স্থানীয়দের পাঁচজন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম রুকন।
মিজানুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থী ও তিন শিক্ষক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে আর ৯ শিক্ষার্থীকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত তিনজন শিক্ষক হলেন লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আশরাফ সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে আহত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের ওবায়দুর রহমান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শৈশব, জাহিদ, বাংলা বিভাগের ইসমাইল হোসেন, রাকিবুজ্জামান, লোক প্রশাসন বিভাগের ওমিও, আলমগীর, রফিকুল প্রমুখ।
ওসি সাইফুল আলম রুকন বলেন, দু’পক্ষের ঝামেলা হয়েছে। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। এখন স্থানীয়রা এলাকায় চলে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও হলে পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। দু’পক্ষের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে স্থানীয়দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয়দিক থেকে ইটপাটকেল ছোড়া হয় এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকতে না দেওয়ায় সিকিউরিটি গার্ডের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় তাদের। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী তাদের ভেতরে যেতে বাধা দেয়। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বহিরাগতদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে উভয়পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করেন।