ডেস্ক রিপোর্ট : স্বল্প চাকরিজীবনে বিদেশে পোস্টিং বাগিয়ে নিয়েছিলেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ রাসেলকে নিয়ে। রাসেল নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এই পরিচয় কাজে লাগিয়েই তিনি এমন অসাধ্য সাধন করেন। কারণ, হাতে গোনা দু-চারজন কর্মকর্তাই এমন সুযোগ পান। ৩১তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করা রাসেল আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩৫তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি পান। প্রশাসন ক্যাডারে যোগদানের পর এমন কোনো আওয়ামী সুবিধা নেই, যা তিনি পাননি। শুধু তা-ই নয়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি ভোল পাল্টে ঠিকই বাগিয়ে নিয়েছেন ইউএনও পদটিও।
সূত্র জানায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির ৩৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ মো. রাসেল। ছাত্রজীবনের শুরুতে তার কোনো দলীয় পরিচয় না থাকলেও ধীরে ধীরে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তার আগে ও পরের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সবাই তার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন সে সময়ের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তাদের দহরম-মহরম ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা দুজনই এখন সরকারের উচ্চ পদে বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন।
অনেকে দাবি করেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তিনি সাংবাদিককে সাজা দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন। এর মধ্যে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কালের কণ্ঠের তালা প্রতিনিধিকে ১০ দিনের সাজা দিয়েছেন তিনি। যে কারণে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বরে উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিককে হেনস্তা করেন।
এ নিয়ে সে সময় তার বিরুদ্ধে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা।
স্বল্প চাকরিজীবনে বিদেশেও পোস্টিং বাগিয়ে নেন তালার ইউএনও

Leave a comment