জন্মভূমি রিপোর্ট : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের পর ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন খুলনার ৬ আসনে নৌকার প্রার্থীরা। স্বতন্ত্র হেভিওয়েট প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলের পর নৌকার সমর্থকদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বর্তমানে দলীয় গ্রুপিং সামলে ঘর গোছাতে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা।
খুলনার ৬টি আসনে এবার মনোনয়ন কিনেছিলেন ৫৯ জন। জমা দিয়েছিলেন ৫৩ জন। এর মধ্যে ৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টি। এছাড়া স্বতন্ত্র ১৭ জন, তৃণমূল বিএনপি ৩, গণতন্ত্রী পার্টি ১, বাংলাদেশ কংগ্রেস ৪, ইসলামী ঐক্যজোট ৩, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ১, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ৩, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ২ ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ১ জন করে প্রার্থী দেয়।
দু-একটি আসন বাদে নৌকার প্রার্থীর বাইরে অন্য দলের প্রার্থীদের কোনো পরিচিতি নেই ভোটারদের কাছে। তবে খুলনার ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চার আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন শক্ত প্রতিপক্ষ। তাদের প্রার্থিতা বাতিলের পর অনেকটা চিন্তামুক্ত নৌকার প্রার্থীরা।
খুলনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ননী গোপাল মণ্ডল। এ আসনে তার শক্ত প্রতিপক্ষ ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায়। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন। তবে বাছাইতে বাদ পড়েন তিনি।
খুলনা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। আসনটিতে অন্য যেসব দলের প্রার্থী রয়েছেন তারা কেউই নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবেন না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খুলনা-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাই স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচন করছেন না।
খুলনা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুস সালাম মুর্শেদী। এ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে আলাদা করে আলোচনায় ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এসএম মোস্তফা রশিদী সুজার ভাই এসএম মোর্ত্তজা রশিদী দারা। তবে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন তিনি।
খুলনা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এ আসনে তিনি তিনবারের নির্বাচিত এমপি। তার শক্ত অবস্থান রয়েছে আসনটিতে। তবে গ্রুপিংয়ে বিপর্যস্ত আসনটি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হয়েছিলেন শেখ আকরাম হোসেন। তবে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েন তিনি।
খুলনা-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান। ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসাবে তিনি পরিচিত। দক্ষিণাঞ্চলে লবণ পানির ঘেরবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ জিএম মাহবুবুল আলম মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন।
রশীদুজ্জামান বলেন, কে এলো কী এলো না তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই। নৌকার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা আছে। নৌকা জিতবে।