সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় শ্বশুর শাশুড়ি ও স্বামীর অত্যাচার নির্যাতনের ফলে পথে পথে ঘুরছে এক সন্তানের জননী শ্রাবন্তী দাস।
মাদকাসক্ত স্বামীর চাহিদামত বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে না পারায় প্রতিনিয়ত সইতে হয়েছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। নির্যাতনের বিচার চাইতে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরছে এই হতভাগ্য নারী শ্রাবন্তী দাস।
শ্রাবন্তী দরজা জানায় কয়েক বছর আগে সাতক্ষীরা তালা উপজেলার কেশা গ্রামের রাধাপদ দাসের ছেলের দেবাশীষ দাসের সাথে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। শ্রাবন্তী দাস কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামের সুব্রত দাসের মেয়ে।
তাদের দাম্পত্য জীবনে দিপ্তদাশ (১০) নামের এক সন্তানের জন্ম হয়। তাদের সংসার বেশ ভালই চলছিল কিন্তু দেবাশিষ দাশ একজন চিহ্নত মাদকসেবনকারী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। তার নেশার টাকা যোগাড়ের জন্য সে স্ত্রী শ্রাবন্তী দাশের উপর নির্মম নির্যাতন চালায়। শ্রাবন্তী দাশ সর্বশেষ ৮ জানুয়ারি স্বামীর বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় এবং চিকিৎসা শেষে বাঁচার তাগিদে মায়ের কাছে সন্তানসহ ফিরে যায়।
শ্রাবন্তি দাশ জানায়, তার আর বেঁচে থাকার ইচ্ছা নাই। শুধু সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে কোন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না সে। তার শ্বশুর, শ্বাশুড়ী ও জা গৃহবধূ শ্রাবন্তী দাসকে সহ্য করতে পারে না। তারা যৌথভাবে মিলে কারনে অকারণে প্রায়ই তাকে মারধোর করে। এমনকি হত্যার জন্য তাকে মাথা আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয় শ্রাবন্তী। সে যাত্রায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে অনেক দিন তাকে। নেশার টাকার জন্য স্বামী ,শ্বশুর শাশুড়ি শ্রাবন্তী কে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় মায়ের
কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য।
উল্লেখ্য, শ্রাবন্তী দাসের বিয়ের সময় ১০ ভরি সোনা, ব্যবসা করার জন্য তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে স্বামী দেবাশীষ কে দেয়া হয়।
এরপর ও নেশার টাকার জন্য প্রতিনিয়ত শারীরিক নির্যাতন করা হয় শ্রাবন্তী র উপর। শ্রাবন্তী জানায়,তার বাবা মায়ের আর টাকা দেওয়ার সামর্থ নাই। বর্তমানে সন্তানকে নিয়ে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে শ্রাবন্তী দাস।