
জন্মভূমি রিপোর্ট
সারাদেশের অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থাকলেও তা মানছেন না খুলনার স্বাস্থ্য বিভাগ। রবিবার দুপুরে খুলনার বয়রা, নিরালা ও সোনাডাঙ্গা এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করতে সতর্ক করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদদপ্তর ৭২ ঘন্টার (তিন দিন) মধ্যে সারাদেশের অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশনা খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পৌছালেও তারা কোন অভিযান পরিচালনা না করে প্রাথমিকভাবে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ ও লাইসেন্স হালনাগাদ করার তাগিদ দিয়েছেন। এদিকে প্রশাসন অভিযান চালাবে এমন আগাম খবরে বেশ কয়েকটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ করে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে গা ঢাকা দেয়।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অভিযান শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশীদ ও সিভিল সার্জন অফিসের ডা. সাদিয়া মনোয়ারা উষা অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এসময় তাদের সাথে কোন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্যকে দেখা যায়নি।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের সহকারী পরিচালক(প্রশাসন) হারুন অর রশীদ জানান, রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সোনাডাঙ্গা এলাকার ১২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালান। এরমধ্যে তারা ৭টি প্রতিষ্ঠানই নিজেরা তালাবদ্ধ করে রাখে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলির হালনাগাদ থাকায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
অভিযানে পপুলার ডায়াগনষ্টিক, সাউথ সিটি ডায়াগনষ্টিক, রেডিয়েন্স ক্লিনিক্যাল আন্ট্রা সাউন্ড, ডেল ইউ, সিটি ম্যাক ডায়গনস্টিক সেন্টর, ম্যাক হেলথ কেয়ার সেন্টার, বয়রা সেন্ট্রাল ডায়গনস্টিক সেন্টার, এডি হাসপাতাল এই ৮টির লাইসেন্স না থাকায় সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া যেগুলোর লাইসেন্স নবায়ন করা নেই তাদেরকে ১ মাসের মধ্যে নবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ কেমন মানা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, নগরীর ৪০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নেই। সেগুলোকে বন্ধ করার জন্য চিঠি দিয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ ছাড়া খুললে জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে সেগুলো সিলগালা করে দেয়া হবে।
তবে অভিযান পরিচালনাকালে হার্ট ফাউন্ডেশন এন্ড উনটেনসিভ কেয়ার সেন্টার এ গিয়ে তাদের আতিথিয়তা গ্রহণ করতে দেখা যায়। এতে উপস্থিত সাধারণ মানুষর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এদিকে শনিবার সিভিল সার্জনের নির্দেশে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জেসমিন আরার নেতৃত্বে ১৮টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে অবৈধ ৭ ক্লিনিক-ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেন।
এছাড়া খুলনা বিভাগের ৪টি জেলায় এদিন অভিযান পরিচালনা করে ২৩টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরমধ্যে খুলনার ফুলতলার ৭টি, মাগুরার ৭টি, যশোরের ৬টি ও চুয়াডাঙ্গায় ৩টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।
‘