জন্মভূমি ডেস্ক : আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হবে বলে জানিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের আগামী নির্বাচনের ইশতেহার হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। যদিও এটা আগেই বলে দিয়েছি। কিন্তু এটাই হবে, বাংলাদেশকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ব।
সোমবার (১৫ মে) বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সদ্য সমাপ্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপানে জনশক্তি রপ্তানি আমরা করতাম না, করি না। আর জাপান চায় দক্ষ জনশক্তি ও শিক্ষিত। আরেকটা বিষয় হচ্ছে জাপানের ভাষা। জাপানে কাজ করতে হলে জাপানি ভাষা শিখতে হবে। আমাদের যারা জাপানি ভাষা শিখবে তারাই যেতে পারবে। আর যে কাজে যাবে তার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ট্রেনিং নিতে হবে। তবেই জাপানে যেতে পারবে। তাহলে যেতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু যারা দেশটিতে যেতে চায় তারা নিজেদের সেভাবে প্রস্তুত করেন না, সেটাই সমস্যা হয়ে যায় আমাদের। অন্য কোনো অসুবিধা নেই।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, দেশে যতই ভালো কাজ হোক না কেন, তারা তা দেখে না। তারা হয়ত চোখ থাকতে অন্ধ, আরেকটা হচ্ছে হীনমন্যতা। প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। হয় তাদের জ্ঞানের অভাব, না হয় দুরভিসন্ধি। প্রতিহিংসা পরায়ণতা, এটা তাদের থাকবে। তিনি আরও বলেন, রাজনীতি যখন করি, সেখানে সমালোচনা থাকবে। আমাদের কাজ আমরা করে যাচ্ছি। সেভাবে করেই বাংলাদেশকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করলাম তখন ২০০৮ সালের বাংলাদেশ কি ছিল, আজকে ২০২৩ সালে কোথায় এসেছে, সেই হিসাবটা করলেই তো বাংলাদেশ কতটুকু এগিয়েছে তা জানতে পারবে। অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ২৫ ভাগ, সেটাকে ৫ দশমিক ৬ ভাগে নামাতে পেরেছি। অতি দারিদ্র্য বলে কিছু নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে প্রাইভেট সেক্টরে মোবাইল, টেলিফোন চালু করে দিয়েছিলাম। আবার টেলিফোন ছিল এনালগ, সেইগুলো ডিজিটাল করেছি। আজকে দেশে প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। স্কুলে-স্কুলে এখন ডিজিটাল ল্যাব আছে। এখন মোবাইলে ফোনে কথা বলতে পারছি, ছবি পাঠাতে পারছি। এটা স্মার্টনেস না? করোনার সময় আমরা যে মানুষের কাছে নগদ সহায়তা পাঠালাম, কীভাবে পাঠিয়েছি? প্রত্যেকর নাম ও আইডি কার্ড নিয়ে একসঙ্গে সরাসরি ৩৫ লাখ মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে গেলো। এখন বয়স্ক, বিধবা ভাতাসহ যা কিছু দিচ্ছি, সবাই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে আমাদের জনগোষ্ঠী হবে ডিজিটাল। তারা অনলাইন ব্যবহার করবে। এখন অনলাইনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। এমনকি বিদেশি বিশেষজ্ঞদের থেকেও অনলাইনে মতামত নেওয়া হচ্ছে। সেইভাবে দেশ এগিয়ে যাবে। এটাই স্মার্ট বাংলাদেশ, এখানে না বোঝার তো কিছু নেই।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত