
জন্মভূমি ডেস্ক : কানাডা প্রবাসী নুরুদ্দিন মাহমুদ গত বিশ বছর যাবৎ কানাডায় ব্যবসা করছেন। তার একই মায়ের আগের ঘরের দুই সন্তান সজল মাহমুদ অনি এবং শ্যামল মাহমুদ অঞ্জন। তারা নুরুদ্দিনের বাবা আব্দুর রশিদের ঔরসজাত সন্তান নয়। কিন্তু নুরুদ্দিনের বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে শাহানা রশিদের প্ররোচনায় যোগসাজসে সমাজে তারা নুরুদ্দিনকে তাদের আপন ভাই অর্থাৎ একই বাবার ঔরাসজাত এবং নুরুদ্দিনের বাবা আব্দুর রশিদকে তাদের বাবা বলে পরিচয় দিয়ে এনআইডি কার্ড করে সমাজে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং নুরুদ্দিনের পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করছে। নুরুদ্দিন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে এর প্রতিকার চেয়ে ফৌজদারি মামলা করেছেন এবং মামলার আর্জিতে ডিএনএ টেষ্ট পরীক্ষা করে এটি তদন্ত করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেন।
আদালত সিআইডি অফিসার এসআই মামুনকে এ মামলার তদন্ত ভার দিলে এসআই মামুন আদালতকে জানান, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দেয়া সম্ভব নয়। আদালত তদন্ত অফিসার মামুনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিএনএ পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়ার আদেশ দেয়। এরপর থেকেই তদন্ত অফিসার মামুন তার তদন্ত কাজে ঢিলেমি দিয়ে ব্যক্তিগত খরচে অভাব-অনটনের কথা বলে নুরুদ্দিন ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময় পাঁচ হাজার-দশ হাজার করে সর্বমোট পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয়। তার ছেলের চিকিৎসা, স্ত্রীর পা ভাঙ্গায় অপারেশনসহ নানা তালবাহানায় অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মামলাকে পুঁজি করে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। দাবি মোতাবেক টাকা দিতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী ও আইনজীবীর অগোচরে আদালতকে জানায় ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়াই সে তদন্ত করবে। এ প্রেক্ষিতে সে ডিএনএ পরীক্ষা করার বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার আবেদনও করে। এয়াড়া তদন্ত অফিসার মামুন আরো ৩ লাখ টাকা দাবি করে, যা না দিলে সে বিবাদীদের পক্ষে রিপোর্ট দিবে। যার কারণে বাদী ও তার স্ত্রী নিরাপত্তাহীনতায় এবং মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলার আতঙ্কে ভুগছে। বাদীর কাছে তদন্ত অফিসার মামুনের বিভিন্ন সময়ের ব্ল্যাকমেল করে টাকা নেওয়ার প্রমাণ অডিও রেকর্ডিং, ভিডিও এবং ছবিসহ চাক্ষুস সাক্ষী আছে, যা তদন্তের প্রয়োজনে বাদী দাখিল করতে পারবে। বাদী সম্পূর্ণ ঘটনা কানাডিয়ান দূতাবাসে জানালে দূতাবাস তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।