কে এম আলী এহসান, তেরখাদা
তেরখাদার প্রধান-প্রধান সড়কের উপর বিভিন্ন যানবহন স্ট্যান্ড স্থাপিত হওয়ায় অসহনীয় বিড়ম্বনার সৃষ্টি হচ্ছে। খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে স্ট্যান্ড অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল ও এলাকাবাসী। তেরখাদা উপজেলার প্রাণকেন্দ্রের বারাসাত ইউনিয়ন তহশিল অফিস থেকে শুরু করে চিত্রা ব্রিজ হয়ে প্রাডু সম্পদ অফিস এবং থানার মোড় থেকে পুরাতন সোনালী ব্যাংক পর্যন্ত সড়কের উপর রয়েছে সকল স্ট্যান্ড। আবার চিত্রা ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্ব হতে জয়সেনা টেম্পো স্ট্যান্ড পর্যন্ত রয়েছে ভ্যান এবং টেম্পো স্ট্যান্ড।
উপজেলা সদরের সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়কগুলোর (তেরখাদা-খুলনা সড়ক, কাটেঙ্গা-গাজীরহাট, জয়েসেনা-গাজীরহাট, তেরখাদা-সাচিয়াদহ) উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভ্যান, টলি, নসিমন, লেগুনা, সিএনজি, বাস এবং মোটরসাইকেলের স্ট্যান্ড। সড়কের পাশে রয়েছে কাটেঙ্গা বাজার কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ, তেরখাদা পুলিশ স্টেশন, সরকারি ইখড়ি কাটেঙ্গা ফজলুল হক মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইখড়ি কাটেঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, উপজেলা ডাকঘর, তেরখাদা সুপার মার্কেট, মোল্যা হায়দার সুপার মার্কেট, শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, কাটেঙ্গা বাজার, জয়সেনা বাজার ও তেরখাদা বাজার। এসব সড়কে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা এবং বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অসহনীয় যানজট থাকে। কোনো-কোনো সময় মাত্র ৩ মিনিটের পথ পার হতে পথচারীদের ৩০ মিনিটেরও বেশী সময় লেগে যায়। উপজেলা সদরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান এটি।
উপজেলার প্রবেশদ্বার এই সড়কগুলো। এখান দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয়। এসব সড়কের উপর দিয়ে সাধারণ পথচারীরা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীরা স্ব-স্ব স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় এবং প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে। যানজটের কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে হিমশিম খেতে হয়। যানজট থাকায় অনেকে পায়ে হেটে চলাচল করায় আহত হয়ে অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করছে। সড়কের উপর থেকে স্ট্যান্ড স্থানান্তর করা হলে যানজট অনেকাংশে কমে যেত। পথচারীদের চলাচলে সকল প্রকার সমস্যা দূর হত।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত