মোঃ এজাজ আলী : চলছে অগ্রহায়নের শীত। খুলনায় গত দুইদিনে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। খুলনাঞ্চলের কয়েকটি অঞ্চলে গতকাল রাত থেকে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরই মধ্যে ঠান্ডা জেঁকে বসায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো জেলার জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের লোকজন। হতদরিদ্ররা খড়কুটোয় আগুন জ¦ালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। শীতজনীত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। নগরীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বয়স্করা ভর্তি আছেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগেআক্রান্ত হয়ে শিশু, বৃদ্ধ ও নারীরা প্রতিদিনই আসছেন চিকিৎসা সেবা নিতে। কিন্তু হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি। ঠান্ডায় সিট না পেয়ে অনেক রোগী বারান্দা, মেঝেতে জায়গা পেয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এদিকে নগরীর বিভিন্ন দোকানে গরম কাপড় কিনতে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর ফেরিঘাট, ডাকবাংলা, রব সুপার মার্কেট, খুলনা রেলওয়ে মার্কেট, খালিশপুর হাউজিং বাজার, বয়রা বাজার, দৌলতপুর বাজার, ফুলবাড়িগেট বাজার,শিরোমনি নিউমার্কেট চত্বর বাজারসহ শহরের বিভিন্ন সড়কে দিনে রাতে ভ্রাম্যমান ভ্যানে করে বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। শীতের পোশাকের দোকান ও আধুনিক বিপনী বিতানগুলোতে এখন শীত পোষাক কিনতে উপছে পড়ছে নগরবাসী। একই সাথে জমজমাট বেচাকেনা চলছে ফুটপাতেও। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর নগরীর শীত পোশাকের দোকানগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শিহাব ফ্যাশনের মালিক এম এম জসিম বলেন, পুরোদমে শীত পড়েছে। সন্ধ্যার পর বরফের মতো ঠান্ডা পড়ছে। সারা বছরই কোনো রকম বেচাকেনা চলে। তবে এ সময় শীত পোশাকের চাহিদা থাকায় দোকানে শিশু নারী ও পুরুষদের জন্য রুচিশীল শীতের পোশাক তুলেছি। সন্ধ্যার পর বেশ ভালোই ক্রেতাদের সাড়া পাচ্ছি। কম্বল বিক্রেতা মোঃ সালমান বলেন, পাঁচ দিন ধরে অনেক ঠান্ডা পড়ছে। প্রতিদিনই কমাবলের চাহিদা বাড়ছে। শীতের কাপড় কিনতে আসা ক্রেতা ফাহিমা আক্তার বলেন, ঘরের ভেতর লেপ বা কম্বল ছাড়া থাকা যাচ্ছে না। আর বাইরে বের হলেই ঠান্ডা। মোটা শীতের পোশাকেও শীত নিবারন হচ্ছে না। মোটরসাইকেল চালক ইব্রাহীম বলেন,শীতের কাপড় পরে বাইক চালাচ্ছি তবুও ঠান্ডা লাগে। তাছাড়া সন্ধ্যার পর বাতাসের কারনে ঠান্ডার পরিমান অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই হেলম্যাট, মোটা জ্যাকেট, অঅর টুপি, হ্যান্ড-গ্লাভস পরে বাইক চালাচ্ছি। ঠান্ডা বেশি পড়ায় বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। নগরীর শিববাড়ী মোড়ে কাজের সন্ধ্যানে বসে থাকা দিনমজুর মোঃ সাইদ বলেন, কয়েকদিন ধরে কোনো কাজ নেই। প্রতিদিন নদীর ওপার শ্রীফলতলা থেকে এখানে আসি। কৃশি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, শীত ও কুয়াশায় কৃষি ফসলের কোনো ক্ষতির তথ্য আমরা এখনো পাইনি। তবে এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বীজতলার ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত