
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সোমবার ১১টায় ডুমুরিয়া উপজেলার নরনিয়া গ্রামের হতদরিদ্র মুজাহিদ হোসেন (৪০) কে তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্ত্রী মারিয়া খাতুন, শ্বশুর, মামা শ্বশুর ও চাচা শ্বশুর কর্তৃক হয়রানিমূলক মামলা ও অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেন। মোঃ মুজাহিদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সামাজিকভাবে ২০১০ সালে আমি বিয়ে করি। বিয়ের পরে আমার বন্ধু গো-রোস্তমপুরের নাজমুল মোল্লার বোনে সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ি। আমি আমার পরিবারের সকলের অগচরে আনুমানিক ২০১৮ সালে লুকিয়ে রোস্তমপুরের আঃ হালিম মোল্লার মেয়ে মারিয়া বেগমকে পুনরায় দ্বিতীয় বিয়ে করি। বিয়ের পরে ২/৩ বার আমার বন্ধুর বোন হিসেবে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী আমাদের বাড়িতে আসে। পরে আমার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নানাভাবে চাপ দিতে থাকে আমার বন্ধু, শ্বশুর ও শাশুড়ি এবং দ্বিতীয় স্ত্রী। আমি তালাক দিতে অস্বীকার কয়ায় আমাকে শ্বশুরবাড়ি ডেকে নিয়ে ২০২১ সালের ২৪ মে জোর করে আমার কাছ থেকে তালাক নেন। ডিবিতে নিয়ে তালাক নেওয়ার পর আমাকে চোখ বেঁধে তালা উপজেলার ইসলামকাটী মামা শশুর আলতাপ সরদারের বাড়ি নিয়ে আটকে রাখা হয়। চোখ বাঁধা অবস্থায় সেখানে সারারাত ধরে আমার ওপর অমানষিক অত্যাচার করা ওই রাতে জোর করে আমার কাছ থেকে ১শ’ টাকার ১০৭টি নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। পর দিন সকালে তালা থানা পুলিশে সোপর্দ করে এবং থানায় কল্পকাহিনী তৈরি করে আমার নামে এবং আমার ও আমার এলাকার আরও ২ (দুই) জন সাতক্ষীরা জেলখানায় থাকাকালে খুলনা আদালতে আমার শ্বশুর, মামা শ্বশুর, চাচা গণি মোল্লা, ভায়রা ভাই মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে পৃথক ৪ (চার) টি হয়রানিমূলক মামলা করে। এ মামলায় আমি সাড়ে ৫ মাস কারাবরণ করি। আমার পিতা ২ মাস ৭ দিন খুলনা কারাগারে ছিলেন। আমার আরো দুটি মামলা যশোরে পিবিআই আদালতে করা হয়।

