শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলায় হরিণের মাংস দিয়ে আ. মালেক ফরাজি (২৬) নামে এক দিনমজুর যুবককে ফাঁনোর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে ওই যুবককে আটক করেছেন বনক্ষীরা।
তার বসতঘরের পেছনের পরিত্যাক্ত বারান্দার আড়ায় ঝুলন্ত পলিথিনের ব্যাগ থেকে তিন কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। আটক মালেক ফরাজী উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের সুন্দরবনসংলগ্ন বগী দশঘর গ্রামের আ. ছালাম ফরাজীর ছেলে।
এদিকে, দিনমজুর মালেক ফরাজীকে আটকের ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। নিরপরাধ যুবককে আটকের প্রতিবাদ ও তার মুক্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন গ্রামবাসী।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয় ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত, স্কুল শিক্ষক মাহামুদ হাসান, সমাজ সেবক হানিফ মুন্সি, আব্দুর রাজ্জাক, আবু সালেহ বলেন, মালেক ফরাজী একজন নিরীহ মানুষ। তার বিরুদ্ধে কোনো ধরণের খারাপ কাজে সম্পৃক্ততার অভিযোগ নেই।
তারা আরো বলেন, আগামী শুক্রবার (৭ জুলাই) গ্রাম পুলিশ নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দিনমজুর মালেক ফরাজী তার ওয়ার্ডের ওই পদের একজন প্রার্থী। তিনি যাতে ওই পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারেন সেজন্য প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করে কারো ফ্রিজে রাখা হরিণের মাংস তার বসত ঘরের ভাঙা বারান্দার আড়ায় ঝুলিয়ে রেখে বন বিভাগকে খবর দিয়েছে। আমরা মালেক ফরাজীর মুক্তিসহ প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইমরান হোসেন রাজিব বলেন, মালেক ফরাজীকে ঘায়েল করতে পরিকল্পিতভাবে হরিণের মাংস রাখা হয়েছে। এর অগেও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকায় বহুবার এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। নিরপরাধ মালেকের মুক্তির জন্য বনবিভাগের কাছে দাবি জানাই।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বগী স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মালেক ফরাজীর বসতঘরের পেছনের বারান্দার আড়ায় ঝুলন্ত অবস্থায় হরিণের মাংস পাওয়া গেছে। পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে স্থানীয়রা তাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এব্যাপারে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, হরিণের মাংস দিয়ে যুবককে ফাঁনোর কথা শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শরণখোলা রেঞ্জের এসিএফকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হরিণের মাংস রেখে দিনমজুর যুবককে ফাঁসানোর অভিযোগে মানববন্ধন
Leave a comment