বিজ্ঞপ্তি : গত ১৯ মে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে কথিত সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদলের ৩৬ নেতা-কর্মীকে আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিএনপি নেতাকর্মীদের করা আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এড. নিতাই রায় চৌধুরী ও এড. মিথুন রায় চৌধুরী।
আইনজীবীরা জানান, গত ১৯ মে খুলনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে সমাবেশ শুরু করে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বক্তব্য শুরুর আগেই বিনাউস্কানিতে পুলিশ সদস্যরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ, লাঠিচার্জ শুরু করে সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ১৩জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির ৪৯জনের নাম উল্লেখসহ ১৩শ’ নেতা-কর্মীর নামে মামলা দায়ের করে। মামলার শুনানি শেষে আদালত তাদের ছয় সপ্তাহের জামিন দেন। একইসঙ্গে এ সময়ের মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে বলেও জানান আইনজীবীরা।
জামিনপ্রাপ্ত অন্যন্যরা হলেন, মাহবুব হাসান পিয়ারু, মো. ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তি, কে হুমায়ুন কবির, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, মো. মাসুদ পারভেজ বাবু, হেলাল আহমেদ সুমন, একরামুল হক হেলাল, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, এবাদুল হক রুবায়েত, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, কিমিয়া সাদাত, শেখ সাদী, মো. ফরিদ মোল্লা, গাউস কুলি গাউস, মো. রবি, মো. জামাল, মো. নাসিম, মো. বেলায়েত শেখ. শেখ সাইফুল্লাহ, সোহেল শেখ, খান জুলফিকার আলী জুলু, মফিজুর রহমান, মো. জিয়াউর রহমান জিয়া, তাজিম বিশ্বাস, আসাদুজ্জামান মিঠু, হাফিজুর রহমান মনি, মো, জাবেদ, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, শফিকুল ইসলাম শফি, আবু হোসেন বাবু, আব্দুল্লাহিল কাফি সখা, আল-আমিন সজল, সেরাজ।