ক্রীড়া প্রতিবেদক : বছরের একেবারে শেষপ্রান্তে এসে বলতে গেলে দারুণ এক খবর পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল। দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর অনেকটা অনিশ্চয়তা পার করে অবশেষে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার নীতিগত অনুমোদন পেয়ে গিয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের তারকা হামজা চৌধুরী। জন্মভূমি ইংল্যান্ড ছেড়ে মায়ের দেশ বাংলাদেশের জার্সিটাই আপাতত উঠছে তার গায়ে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে হামজা চৌধুরীর অভিষেক হতে পারে আগামী বছর মার্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে। সেই ম্যাচে হামজা যুক্ত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দামি দলে পরিণত হবে বাংলাদেশ। বর্তমানে যা আছে ভারতের দখলে। অবশ্য হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন এই ঘোষণার পরেই লাল-সবুজের ফুটবল দলকে এই অঞ্চলের সবচেয়ে দামী বলা যায় অনায়াসে।
হামজা চৌধুরীর বর্তমান মার্কেট ভ্যালু পুরো বাংলাদেশ জাতীয় দলের থেকেও বেশি। দলবদলের বাজার বিশ্লেষণকারী ওয়েবসাইট transfermarkt এর কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের পুরো খেলোয়াড়দের মার্কেট ভ্যালু মোট ৩.০৫ মিলিয়ন। অন্যদিকে হামজার একারই মার্কেট ভ্যালু ৪.৫০ মিলিয়ন ডলার। হামজা অবশ্য তার ক্লাব লেস্টার সিটিতে দামের দিক থেকে আছেন ১৯তম স্থানে। তবে জর্ডান আইয়ু, কনর কোডি, ড্যানি ওয়ার্ড কিংবা জেমি ভার্ডির মতো তারকাদের চেয়ে এগিয়ে আছেন তিনি।
জাতীয় দলে হামজা যোগ দেওয়ায় মোট বাংলাদেশের মার্কেট ভ্যালু এখন ৭.৫৫ মিলিয়ন। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্য সব থেকে সবচেয়ে বেশি। এর আগে সবার ওপরে ছিল ভারত। যাদের ফুটবলারদের সম্মিলিত মার্কেট ভ্যালু ৫.৮৬ মিলিয়ন। এরপর রয়েছে নেপাল, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ ও পাকিস্তান।
বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় ইসা ফয়সাল এবং রাকিব হোসেন। transfermarkt তাদের মূল্য বিবেচনা করেছে আড়াই লাখ টাকা। দুই লাখ টাকা বাজারমূল্য ধরা হচ্ছে মিডফিল্ডার সোহেল রানার। ১ লাখ ৭৫ হাজার মূল্য ধরা হয়েছে রহমত মিয়া, আনিসুর রহমান জিকো এবং মোহাম্মদ হৃদয়ের। শেখ মোরসালিনের বাজার মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
পুরো এশিয়াতে মার্কেট ভ্যালুর দিক থেকে ১৯ নম্বরে বাংলাদেশ। মার্কেট ভ্যালুতে শীর্ষে জাপান। তাদের মার্কেট ভ্যালু ২৮৭ মিলিয়ন। এরপর দক্ষিণ কোরিয়া ১৫৯.১৫ মিলিয়ন।
হামজার আগমনে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দামি দল বাংলাদেশ
Leave a comment