ক্রীড়া প্রতিবেদক : ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ছিল খুনে মেজাজে। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ঝড় তোলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। ৮ দশমিক ৫ ওভারেই দলীয় সংগ্রহ শতরান পেরোয় তাদের। ইনিংসের মাত্র ২৩তম ওভারে দুইশ’ ছাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার রান। এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পরও অস্ট্রেলিয়াকে চারশ’র আগে থামিয়ে দেওয়া একমাত্র শান্ত্বনা হতে পারে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের জন্য।
আজ (শনিবার) ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.২ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ৩৮৮ রানে থেমেছে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। শেষ দিকে এক ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে থামিয়ে দেন মূলত ট্রেন্ট বোল্ট। এ ছাড়া গ্লেন ফিলিপস নেন তিনটি উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার চারশ’র আক্ষেপ থাকলেও তাদের ইনিংসটি ধর্মশালায় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে। ওয়ানডেতে এই মাঠে আগের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল ইংল্যান্ডের, বাংলাদেশের বিপক্ষে কদিন আগে ৩৬৪ রান করেছিল বাটলাররা।
আজ ধর্মশালায় শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ওয়ার্নার ও হেডের বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখে থাকলে আপনার মনে হতেই পারে ওয়ানডে নাকি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ! দুজনের উদ্বোধনী জুটি থামে ১৯ তম ওভার শেষে ১৭৫ রানে। বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওয়ার্নার। শেষমেশ ৬৫ বলে ৮১ রানে থাকা অবস্থায় গ্লেন ফিলিপসের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে ফিরতে হয় অজি এই ওপেনারকে।
ওয়ার্নারকে হারালেও ইনিংসের ২৩ ওভার শেষেই দুইশো ছাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন ট্রাভিস হেড। রাজসিক প্রত্যাবর্তন বোধহয় একেই বলে! হাতের ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের আগের ম্যাচগুলো খেলতে পারেননি। আজ দলে ফিরেই মাত্র ২৫ বলে চলতি বিশ্বকাপের যৌথভাবে দ্রুততম ফিফটির পর ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে খেললেন ৫৯ বল। ওডিআই ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে যা চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।
যদিও সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি হেড। ওয়ার্নারের পর ফিলিপসের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ৬৭ বলে ১০৯ রান। যেখানে ১০ টি চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কার মার ছিল।
দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। আজও ব্যর্থ হন স্টিভ স্মিথ (১৮)। মার্শ ও লাবুশেনরাও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শেষদিকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও প্যাট কামিন্সের ছোটখাটো ক্যামিওতে বড় সংগ্রহ পায় তারা।
ডাচদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ম্যাক্সওয়েল ২৪ বলে ৪১ রান করে জিমি নিশামের ওভারে আউট হন। জস ইংলিসকে ৩৮ রানে আউট করেন বোল্ট। এছাড়া নিশামের এক ওভারে চার ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৪ বলে ৩৭ রান করে আউট হন কামিন্স। এক ওভারে স্টার্ক, ম্যাট হেনরি ও অ্যাডাম জাম্পাকে তুলে নিয়ে রাশ টানেন বোল্ট।