কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: হেমন্তের শান্ত আকাশে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য শীতকে বরণ করতে চলছে বেশ আয়োজন। মেঘমুক্ত রাতে চাঁদের রূপালী আলোয় মায়াবি প্রকৃতিকে যেনো বলছে শীত আসতে খুববেশি দেরি নাই। বীস্তির্ন জলাশয়ের গাঢ় সবুজের বুকচিরে হালকা গোলাপির মাঝে বেগুনি রঙে ফুটে ওঠা চোখ জুড়ানো নান্দনিক সৌন্দর্যে মুগ্ধতা ছড়ানো কচুরিপানা ফুলেরাও। কেউ কেউ আবার এটাকে টগর ফুলও বলে থাকে। এ যেনো কোনো চিত্র শিল্পীর মনের মাধুরি মিশিয়ে রংতুলিতে নিখুঁতভাবে আকাঁ কোন ছবি। কাউখালী উপজেলার চরাঞ্চলে, রাস্তার পাশে বিস্তীর্ন জলাশয়ে ফোটা ফুলগুলো কোনো সুবাস না ছড়ালেও নান্দনিক এ-দৃশ্য মনছুয়ে যায় প্রকৃতি প্রেমিদের। কোমলমতি শিশুদের খেলনার উপকরণ হিসেবে এ ফুল ভীষণ পছন্দ। পল্লী বধুরা এফুল আবার সব্জি হিসেবেও ব্যাবহার করে থাকেন। কচুরিপানা ফুল মুক্ত সৌন্দর্য ছড়ানোর পাশাপাশি এ উদ্ভিদ থেকে তৈরী জৈবসার কৃষি জমিতে ব্যাবহৃতহয়ে আসছে। এটি দেশীয় মাছের খাদ্য, বংশবিস্তারে এবং জলজপ্রানী রক্ষায় জলাশয়ে পানির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোমা রানী দাস জানান কচুরিপানা একধরনের বহুবর্ষজীবী ভাসমান উদ্ভিদ যা খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে। এটি জৈবসার হিসেবে প্রস্তুত করে কৃষি জমিতে প্রয়োগকরে কৃষকরা ভালো ফলন পাচ্ছে।এছাড়াও এই উদ্ভিদ গোখাদ্যের চাহিদা মেটানো সহ বিভিন্ন কাজে ব্যাবহৃত হয়ে আসছে।