
ডেস্ক রিপোর্ট : চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত শূন্যপদ যুক্ত করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে সুপারিশ বঞ্চিত ১৬ হাজার জনকে নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে। দাবি না মানলে শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয় শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
র্রফ বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ হুঁশিয়ারি দেন সুপারিশ বঞ্চিতরা। আগামী রোববার (১২ অক্টোবর) শাহবাগে শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ করবেন তারা।
তাদের দুটি দাবি হলো-
১. চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শূন্যপদ যুক্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সুপারিশ বঞ্চিত ১৬ হাজার ২১৩ জনকে নিয়োগ দিতে হবে।
২. নীতিমালা পরিবর্তনের পূর্বে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ও সুপারিশ বঞ্চিত প্রার্থীদের নিয়োগের লক্ষ্যে বিষয়ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী শূন্য পদ যুক্ত করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সবাইকে নিয়োগ দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের নিকট থেকে নিশ্চিত হয়েছি যে, সদ্য সুপারিশকৃত পদে অনেক প্রার্থী বিভিন্ন কারনে যোগদান করবেন না। তাই চলমান তীব্র শিক্ষক সংকট আরও তীব্রতর হবে। ফলে শিক্ষাব্যবস্থা হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়বে। তাই এই অযোগদানকৃত পদ গুলোতে শূন্য পদ যুক্ত করে দ্রুত বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি সহজেই প্রদান করা যায়।
তারা আরও বলেন, এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের একটি অত্যন্ত দুঃখজনক পদ্ধতি হচ্ছে, সর্বোচ্চ মেধাবীদের যাচাই-বাছাই করার পরেও একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশ না করে নতুন নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করে দেয়। এনটিআরসিএ এ পর্যন্ত ছয়টি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করেছে, যেখানে কলেজ নিবন্ধন পরীক্ষায় ৪৫ নম্বর পেয়েও কলেজের প্রভাষক হিসাবে সুপারিশ পেয়েছেন।
অথচ এবার ৫০-এর অধিক মার্ক পেয়েও এনটিআরসিএর বিবেচনায় অযোগ্য। আসল বিষয়টা হচ্ছে, তারা কিছু সংখ্যক নিয়োগ দিয়ে বাকিদের বঞ্চিত করে। তারপর নতুন নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর মাধ্যমে আবারও কোটি কোটি টাকার অর্থলোভে হাজারো যোগ্য শিক্ষকের জীবনকে বলি দেয়।
সুপারিশ বঞ্চিত এক প্রার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব ধাপ পার করেছি কি শুধু একটা কাগজের সনদ পাওয়ার জন্য? গত নিয়োগ পরীক্ষার ভাইভা খুবই কঠিন হয়েছে, ফলে অনেকে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছে। আমরা সেই ভাইভাও পার করেছি। কিন্তু আমরা এখনো বঞ্চিত। এটি চরম বৈষম্য।