
জন্মভূমি রিপোর্ট
আগামী ২৫ জুন যানবাহন চলাচলের জন্য বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে। ওইদিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা বহুমুখি সেতুর উদ্বোধন করবেন।
পদ্মা নদীর বুকে নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার কোটি টাকায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর কাজ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে পদ্মা সেতু পারাপারে টোল নির্ধারণ করেছে সরকার।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মাসেতু। এরপর পর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর।
দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ পদ্মা সেতু উদ্ধোধনের দিন ক্ষন গণনা শুরু করেছে। এ উপলক্ষে দৈনিক জন্মভ‚মির পক্ষ থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হবে। আজ প্রকাশিত হলো খুলনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার খুলনা ব্যুরো চীফ এস এম জাহিদ হোসেনের প্রতিক্রিয়া।
তিনি দৈনিক জন্মভ‚মিকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, পদ¥া সেতু বাঙ্গালী জাতির স্বপ্নের সেতু। অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এই সেতু উদ্ধোধনের দিন ঘোষণা করায় দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের ১৬ কোটি মানুষ খুব খুশি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দেশের অর্থনৈতিক গতি সঞ্চার হবে। মোংলা সমুদ্রবন্দর, বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। খুব শীঘ্রই দেশের জিডিপি ডাবল ডিজিটে উনীœত হবে।
পদ্মা নদীর দুই পাড়ের মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষার পালা ঘুচবে। দুই পাড়ে দীর্ঘ যানজট চিত্র, ফেরিতে গাড়ি ও মানুষের ভীড় আর হবে না। ঈদ, পুজা, বড়দিন ও বাঙ্গালীর সব উৎসবে যাতায়াতের ভোগান্তির চিরন্তন চিত্র মানুষ একদিন ভ‚লে যাবে। একটি ভয়াবহ ও দূর্বিসহ অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়লে আজও আতঙ্কে শিউরে উঠি। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শেষে আমার মেয়েকে নিয়ে ঢাকা থেকে ফিরছিলাম। সেদিন নি¤œচাপ ছিল। আবওহাওয়া অধিদপ্তরের তিন নম্বর সতর্ক সংকেত ছিল। রাত দশটায় রওয়ানা দিয়ে রাত একটার দিকে আরিচা ফেরিঘাটে গাড়ি পৌছাঁল। সারা রাত ও পরদিন ভারী বৃষ্টি । ঘাটে ফেরি, লঞ্চ, ট্রলারসহ সবকিছু বন্ধ। পরের দিন দুপুর দুইটার পরে বৃষ্টি কমলে গাড়ীর সুপারভাইজার ও চালক জানায় বিকেল তিনটার দিকে এক থেকে দু”টি ফেরি চলাচল করবে। যারা যেতে চান তারা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যেতে পারবেন। প্রচন্ড কষ্ট ও সীমাহীন দুর্ভোগে অসুস্থ হয়ে পড়ি। আরও নানান শারীরিক সমস্যা। সেদিন পরম করুনাময় আল্লাহর কাছে দোয়া করি। হে আল্লাহ খুব শীঘ্রই পদ্মা সেতু চালু করার ব্যবস্থা করে দাও। শুধু আমার নয়, এ ধরণের অভিজ্ঞতা দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কোটি মানুষের।
ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতু ও সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সেতু নির্মানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে।
এদেশের কিছু কুলাঙ্গার বিশ^ব্যাংককে অসত্য তথ্য দিয়ে পদ¥া সেতুর লোন বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অগ্নিকন্যা প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা দৃড় আস্থা ও বিশ^াসের সাথে ঘোষণা দিয়েছিল আমরা নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করবো ইনশাল্লাহ