অভিজিৎ পাল
অবশেষে ২শ’ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল। করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বমূখী এই সময়ে চিকিৎসা সেবা বাড়াতে অন্য জেলা নিয়ে আসা হচ্ছে ১০ জন চিকিৎসক ও ৪০ জন নার্স। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চালু হবে করোনার ১শ’ শয্যা বিশিষ্ট করোনার দ্বিতীয় ইউনিট।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরনো গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগকে ঘষে মেজে করা হয়েছে পরিষ্কার। বসানো হচ্ছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন।
১০০ শয্যার করোনার প্রথম ইউনিটে জুন মাস থেকেই রোগীর চাপ বাড়ছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ১৩০ এর উপরে রোগী। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী সপ্তাহখানেকের মধ্যে চালু হবে করোনার দ্বিতীয় ইউনিট।
করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র ডাঃ সুহাষ রঞ্জন হালদার বলেন, আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে চেষ্টা করছি করোনা হাসপাতালে দ্বিতীয় ইউনিট চালু। ইতিমধ্যে চিকিৎসক ও নার্সদের প্রেষণে এখানে নিয়ে আসার অর্ডার হয়ে গেছে। লজিস্টিক সপোটের্র কাজ চলছে, অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ হলেই চালু করা যাবে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক রাশিদা সুলতানা বলছেন, ইতিমধ্যে অন্য জায়গা থেকে ১০ জন চিকিৎসক ও ৪০ জন নার্সকে করোনার দ্বিতীয় ইউনিটে নিয়ে আনা হয়েছে। আজ রবিবার কর্মস্থলে যোগদান করবেন তারা। দ্রæত সময়ে দ্বিতীয় ইউনিট চালুর চেষ্টা করছেন তারা।
করোনার দ্বিতীয় ইউনিটে প্রেষণে আসা চিকিৎসকেরা হলেন, ডাঃ মাহবুব আলম, সহকারী সার্জন, ইদেমপুর ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, শৈলকুপা, ঝিনাইদহ, ডাঃ ইসরাত জেরিন, ইনডোর মেডিকেল অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, ডাঃ মোঃ তালাত তাসমিমা, সহকারি সার্জন, নলডাঙ্গা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সদর, ঝিনাইদহ, ডাঃ শামস ইবনে করিম, সহকারী সার্জন, ভদ্রবিলা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সদর, নড়াইল, ডাঃ রোশিনী খানম, সহকারী সার্জন, পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কালিয়া, নড়াইল, ডাঃ ইনজামুল হক, মেডিকেল অফিসার, জগতি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সদর, কুষ্টিয়া, ডাঃ মোঃ হামিদুল ইসলাম, সহকারী সার্জন, ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গাংনী, মেহেরপুর, ডাঃ নাহিদা ইয়াসমিন মিতু, সহকারী সার্জন, ওএসডি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা, সংযুক্তি সিভিল সার্জন অফিস, রংপুর, ডাঃ সাগর সৈকত বিশ^াস, সহকারী সার্জন, ওএসডি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা, সংযুক্তি সিভিল সার্জন অফিস, মাগুরা। এছাড়াও খুলনার বক্ষব্যাধি হাসপাতাল থেকে ৪০ জন নার্সকে নিয়ে আসা হচ্ছে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের দ্বিতীয় ইউনিটে।
গত কয়েক মাস ধরে খুলনা বিভাগে বাড়ছে করোনা রোগী। খুলনাসহ পাশর্^বর্তী জেলার রোগীদের সেবায় খুলনা সদর হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে পরিণত করার চেষ্টাও করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২শ’ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল : আনা হয়েছে ১০ চিকিৎসক ও ৪০ নার্স
Leave a comment