তিনি বলেন, ছাত্ররা আমাদের সন্তানের মতো, তাদের সঙ্গে আমাদের সংঘর্ষ হবে কেন? এখানে অবশ্যই কোনো ষড়যন্ত্র আছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। দেড়দিন হলো তার ব্যবসা করতে পারছে না। যেহেতু সামনে ঈদ, এই সময় দোকান বন্ধ থাকলে বড় ধরনের ক্ষতিতে পড়বে ব্যবসায়ীরা। নিউমার্কেটকেন্দ্রিক ২০টি মার্কেট রয়েছে। এছাড়া এ্যালিফ্যান্ট রোডেও অনেক মার্কেট। ব্যবসায়ীর সংখ্যা হবে প্রায় দুই লাখ। ব্যবসা বন্ধের ফলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২০০ কোটি টাকার মতো। তবে এই মুহুর্তে সঠিক ক্ষতির পরিমাণ বলা কঠিন।
বৃহত্তর এ্যালিফেন্ট রোড দোকান-মালিক সমিতির সভাপতি মো. তৌফিক আহসান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আগে মার্কেটগুলো বন্ধ থাকাতে আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। এ মুহূর্তে ঠিক কতো টাকার ক্ষতি হয়েছে সেটা বলা মুশকিল। গত দুইবছর করোনার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ ছিল। দুই বছর পর একটা ব্যবসার মৌসুম এসেছে। এখন যদি ব্যবসা বন্ধ রাখতে হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা কয়েক হাজার কোটি টাকার লেনদেন কার্যক্রম হবে না।
তিনি বলেন, এই এলাকায় প্রায় ৪৫টি মার্কেট রয়েছে। তাদের দেড় দিন ধরে বেচাকেনা বন্ধ। প্রতিদিন যদি দেড় হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়, তাহলে পণ্যের দাম, দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন ও ইউটিলিটি চার্জ বাদ দিয়ে নিট লাভ হতো প্রায় ২০০ কোটি টাকা। সেটা এখন লোকসান হবে বলে আমাদের আশঙ্কা।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনা দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অন্যদিকে নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার রাতে নিউমার্কেটের একাধিক দোকানে লুটপাট হয়েছে। পুলিশ আসায় রক্ষা হয়। গত দুই বছরে করোনার কারণে দোকানপাট বন্ধ ছিল। এবার ঈদকে কেন্দ্র করে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ ধরনের সংঘর্ষ কারো কাম্য নয়।
তিনি বলেন, নিউমার্কেট ও এর আশপাশের মার্কেট মিলিয়ে ১৫ -২০ হাজার দোকান ও শো-রুম রয়েছে। ঈদ মৌসুমে তাদের প্রত্যেকের প্রতিদিন সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকার বেচা-বিক্রি হয়। আমি যদি এর কমও ধরি তাহলে আমাদের ২০০ কোটি টাকার ওপরে নিট ক্ষতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার মধ্যরাত থেকে নিউমার্কেট ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১০ জন সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক ছাত্র-ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। বন্ধ রয়েছে নিউমার্কেট এলাকার সকল দোকানপাট ও সড়কে যান চলাচল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা কলেজ ও এর ছাত্রাবাসগুলো।