জন্মভূমি ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ। এই মেয়াদে তিনি হোয়াইট হাউসে তাঁর প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে বেছে নিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী ক্যারোলিন লেভিটকে। গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব লেভিট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সহযোগী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনপিআরের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প শিবিরের পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন ক্যারোলিন লেভিট। তিনি নির্বাচনী প্রচার টিমের ন্যাশনাল প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেছেন। এখন দায়িত্ব পালন করছেন ট্রানজিশন টিমের প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে। লেভিট এর আগেও ট্রাম্পের প্রশাসনে কাজ করেছেন। তখন তিনি ছিলেন সহকারী প্রেস সেক্রেটারি।
লেভিটকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ক্যারোলিন বুদ্ধিমতী, কঠোর পরিশ্রমী এবং একজন দক্ষ যোগাযোগকারী। আমি নিশ্চিত, তিনি এ দায়িত্বে সফল হবেন এবং আমেরিকার মানুষের কাছে আমাদের বার্তা পৌঁছে দেবেন।’
২৭ বছর বয়সী লেভিট হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী মুখপাত্র। ১৯৬৯ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের প্রশাসনের পর এই দায়িত্বে এত কম বয়সী কেউ ছিলেন না। ক্যারোলিন লেভিট এর আগে নিউইয়র্কের রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিকের যোগাযোগ পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। সম্প্রতি ট্রাম্প তাঁকে জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেছেন।
নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা লেভিট একসময় কংগ্রেস সদস্য হওয়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন। তিনি রিপাবলিকান প্রাইমারিতে জয়ী হলেও সাধারণ নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে হারাতে পারেননি। কংগ্রেস সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলে তিনি জেনারেশন জেড প্রজন্মের প্রথম নারী প্রতিনিধিদের একজন হতেন।
ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরে কাজ করার সময় লেভিট তরুণ ভোটারদের প্রতি ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা নিয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে এনপিআরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমেরিকান ড্রিম বাঁচিয়ে রাখতে চাইলে, বাড়ি কেনার সামর্থ্য রাখতে চাইলে, গ্যাস, মুদি, বাড়িভাড়া—সবকিছুর খরচ কমাতে চাইলে এবং পরিবার গড়তে চাইলে একমাত্র ট্রাম্পকেই ভোট দেওয়া উচিত।’
তবে এবারের নির্বাচনে ৩০ বছরের কম বয়সী ভোটাররা মূলত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের পক্ষে ছিলেন। যদিও ডেমোক্র্যাটরা তরুণ ভোটারদের মধ্যে সমর্থন হারিয়েছে, আর ট্রাম্প ২০১৬ ও ২০২০ সালের তুলনায় ভালো করেছেন। বেশির ভাগ তরুণ ভোটার অর্থনীতি ও চাকরিকে প্রধান ইস্যু হিসেবে দেখেছেন। বার্তা সংস্থা এপির এক্সিট পোল তথা বুথফেরত জরিপ থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।