
জন্মভূমি রিপোর্ট : জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ঘোষণা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা জাতীয় সম্মেলনে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু। পরবর্তীতে ঢাকায় ফিরে ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচার চালান এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের কাছে ৬ দফার গুরুত্ব তুলে ধরেন। সর্বস্তরের মানুষের স্বতস্ফূর্ত সমর্থনে সে সময় ৬ দফা হয়ে ওঠে পূর্ব বাংলার জাতীয় মুক্তির সনদ। পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য মরিয়া হয়ে দেশে পূর্ববাংলার সাধারণ মানুষ। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬ দফা আদায়ে হরতাল ডাকে আওয়ামী লীগ। হরতালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এ সময় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন। ৬ দফার প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যাপক জনসমর্থন, শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে আইয়ুব সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। ফলে বিক্ষোভে গর্জে ওঠে বাংলার রাজপথ। ৬ দফার সেই আন্দোলন পরবর্তীতে রুপ নেয় বাঙালির স্বাধীনতার সংগ্রামে।
বুধবার বিকাল ৫টায় ঐতিহাসিক ৬ দফা উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড সুজিত অধিকারি। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামালের পরিচালনায় এসময়ে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, এ এফ এম মাকসুদুর রহমান, এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, বি এম এ ছালাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, খালেদীন রশিদী সুকর্ণ, এমএ রিয়াজ কচি, শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, শেখ মো. রকিকুল ইসলাম লাবু, মোজাফফর মোল্যা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেসুর রহমান বাবলু, খায়রুল আলম, সায়েদুজ্জামান সম্রাট, অসিত বরণ বিশ্বাস শুভ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।