
ক্রীড়া প্রতিবেদক : ২০১২ এবং ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়দের জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন মারলন স্যামুয়েলস। তবে দুর্নীতির অভিযোগে এই উইন্ডিজ তারকা এবার শাস্তি পাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) দীর্ঘ সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করেছে তাকে।
আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী চারটি ধারা ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন স্যামুয়েলস। ২০২১ সালে আইসিসি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গঠন করেছিল।
২০১৯ সালে আবুধাবিতে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে গিয়েছিলেন এই ক্যারিবিয় তারকা। সেবার কোনো ম্যাচ না খেললেও দুর্নীতি অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী কোডের ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৬ ও ২.৪.৭ নম্বর ধারা ভেঙেছেন তিনি।
গত আগষ্টে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেচ আইসিসি। আর এবার তার বিরুদ্ধে শাস্তির ঘোষণা করলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সব ধরণের ক্রিকেট থেকে ছয় বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আইসিসি। নভেম্বরের ১১ তারিখ থেকেই তার শাস্তি শুরু হয়েছে বলেও জানা গেছে।
গত আগষ্টে দুর্নীতিবিরোধি একটি ট্রাইব্যুনালে শুনানির পরই স্যামুয়েলসকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ ট্রাইব্যুনালের সব অধিকাংশ তাকে সদস্যই ২.৪.২ ধারা ভঙ্গের জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে। আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী এ কোডে বলা আছে, কোনো রকমের উপহার, অর্থ, আতিথেয়তা বা অন্য সুবিধা নেওয়ার তথ্য স্বীকৃত দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাকে না জানানোর মাধ্যমে ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা। এছাড়া বাকি তিনটি ধারায়ও ট্রাইব্যুনালের সব সদস্যই তাকে দোষী হিসেবে রায় দিয়েছেন।
এদিকে এর আগে ২০০৮ সালেও এমন অপরাধে শাস্তি পেয়েছিলেন এই তারকা। সেবার দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারতের ওয়ানডে ম্যাচের তথ্য বাইরে পাচার করতে গিয়ে ভারতীয় পুলিশের কাছে ধরা পড়েছিলেন ২০২০ সালে পেশাদার ক্রিকেটকে বিদায় জানানো স্যামুয়েলস।