জন্মভূমি ডেস্ক : আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিলে আমরা আবার ক্ষমতায় থাকবো, তা না হলে নেই।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসির সাত সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি নিজের জন্য নয় বরং দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করছি। দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করাই আমরা মূল লক্ষ্য। সরকার সব গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছে। বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রায় ৪০ হাজার ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ৪০ হাজার ঘর বিতরণের পর কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না।
বৈঠকে অংশ নেওয়া সাত বিদেশি কূটনীতিক হলেন আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম, মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সমীর, ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল-বুলুশি, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এসওয়াই রামাদান, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এশা ইউসেফ এশা আলদুহাইলান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ খাসেফ আলহামৌদি।
প্রধানমন্ত্রী মুসলিম উম্মাহকে সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিলিস্তিনকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি ফিলিস্তিনিদের পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন।
বৈঠকে ওআইসিভুক্ত সাত দেশের কূটনীতিকরা জানান, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে, সুখে আছে। মুসলিম উম্মাহর সদস্য হিসেবে তারা (দূত) খুশি ও গর্বিত। প্রায় ৭০ লাখ বাংলাদেশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাজ করছেন। তারা ওইসব দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছেন।
তারা আশা প্রকাশ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে¡ বাংলাদেশের এ অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আগামী সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনার সাফল্য কামনা করেন ওআইসিভুক্ত দেশের কূটনীতিকরা।