চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে চলছে আমলাতন্ত্রের ষড়যন্ত্র: বিএমএ খুলনা
# সংবাদ সম্মেলন সাত দফা দাবী উত্থাপন
জন্মভূমি রিপোর্ট : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সমূহ তদারকির দায়িত্ব ডিসিদের উপর অপর্ণের ঘোষনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলণ করেছেন খুলনা বিএমএ। বুধবার দুপুর বারোটায় বিএমএ ভবনের কাজী আজহারুল হক মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলণে লিখিত বক্তব্য দেন খুলনা বিএমএর সভাপতি ডা শেখ বাহারুল আলম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সমূহ তদারকির জন্য উপজেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, জেলায় সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পর্যায়ে পরিচালক স্বাস্থ্য এবং সবার উপরে আছেন মহাপরিচালক স্বাস্থ্য ও তার দফতরের পরিচালকবৃন্দ। স্বাস্খ্যখাতের কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তি থাকা সত্ত্বেও অপেশাদার, ঔপনিবেশিক ভাবধারার আমলা দ্বারা আরো অতিরিক্ত তদারকী করা হলে দৈত্ব তদারকীর ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। আমরা মনে করি এটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আমলাতন্ত্রের পূর্বনির্ধারিত দূরাভিসন্ধীমূলক ষড়যন্ত্রের অংশবিশেষ।
স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সমূহের জনবল, অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি ও ঔষধপত্রের সংকট নিরসন এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মস্থলের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, কৃত্য-পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, এবং আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য রোধ করাসহ সাত দফা দাবী উত্থাপন করেন চিকিৎসকরা। দাবীগুলো হলো, ১ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান তদারকির দায়িত্ব ডিসিদের উপর হস্তান্তরের যে নির্দেশ দিয়েছেন তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ২. স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সমূহে প্রয়োজনীয় জনবল, অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি ও ঔষধপত্রের সংকট নিরসন করতে হবে। ৩. কৃত্য-পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, এবং আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য রোধ করতে হবে। ৪. চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা আইন প্রনয়ণ। ৫. চিকিৎসা দিতে গিয়ে কোন মৃত্যু ঘটলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীর অপরাধ প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত তারা রাষ্ট্রের কাছে দায়মুক্তি। ৬.বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজনের তাগিদে চিকিৎসকদের উচ্চ শিক্ষা সহজ ও সুগম করতে হবে। সরকারী বা বেসরকারী পর্যায়ে চিকিৎসাক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষার অর্জনে আমলাদের সৃষ্ট ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। ৭. পোষ্ট গ্রাজুয়েশন ট্রেনী চিকিৎসকদের সর্বক্ষনিক হাসপাতালে থাকতে হয় তাই তাদের আবাসন ব্যবস্থা এবং অতিরিক্ত সময়ের জন্য সম্মানিভাতা প্রদান করতে হবে। ৮.ইর্ন্টান চিকিৎসকরা হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করে তাই তাদের আবাসন স্থানের প্রয়োজনীয় সম্প্রসারন ও অর্থনৈতিক সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে।