
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের নিকট নাগরিক নেতৃবৃন্দের অভিযোগ
জন্মভূমি রিপোর্ট : চিকিৎসকদ্বয়ের অবহেলা আর গরীব নেওয়াজ ক্লিনিকের উদাসীনতার কারণে সাংবাদিক মামুন খানের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। অধিমাত্রায় এনেসথেসিয়া এবং রোগীকে প্রস্তুত না করে যত্রতত্রভাবে অপারেশন থিয়েটারে এসে রোগীর অপারেশন করা আইনগত সিদ্ধ নহে। এমনকি তাদের অপরাধ ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে অন্যত্র বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে সেখানে চিকিৎসকদ্বয় অপারেশন করে বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়েছেন। করেছে রোগীর স্বজনদের সাথে খারাপ আচারণ। যা কোন মানুষের কাম্য নয়। চিকিৎসদ্বয় যদি এই ধরনের অপরাধ করে পার পেয়ে যায় তবে চিকিৎসাক্ষেত্রে ক্ষতি হবে। তাই আমরা তদন্তপূর্বক দোষী চিকিৎসকদ্বয় এবং ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এভাবে বললেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের নিকট নাগরিক নেতৃবৃন্দ। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ বিষয়টি শোনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ে সাংবাদিক মামুন খানের স্ত্রী শায়লা শারমিন ভুল এনেসথেসিয়া এবং সর্বোপরি চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলা ও গরীব নেওয়াজ ক্লিনিকের উদাসীনতার কারণে কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবিতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগপত্র দাখিল করে দৈনিক জন্মভূমির সিনিয়র সাংবাদিক খান মোহাম্মদ আজরফ হোসেন (মামুন খান)। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এ রশীদ, ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর কমিটির সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, সিপিবি সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, এস এম মাহাবুবুর রহমান খোকন, মাহফুজুর রহমান মুকুল, শরিফুল ইসলাম সেলিম, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম, সাংবাদিক ইয়াসীন আরাফাত রুমী, সাংবাদিক দেবব্রত রায় প্রমুখ।
মামুন খান বলেন, আমার স্ত্রীকে সান্তনা এবং কথা বলে সাহস যোগাবার একপর্যায়ে এ্যানেসথেসিয়া ডাঃ দিলিপ কুন্ডু আমাকে অপরেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তখন আমি দেখি আমার স্ত্রীর দুই হাত সেলাইনের পাইপ দিয়ে বাঁধা। ছবি তোলার কোনো চেষ্টা না করা স্বত্ত্বেও ডাঃ দিলিপ স্ব-প্রণোদিত হয়ে আমাকে ছবি কিংবা ভিডিও করা হতে বিরত থাকতে আদেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, আমার স্ত্রীকে দফায়-দফায় অজ্ঞানের ওষুধ প্রয়োগ করে পুরো শরীর অজ্ঞান করা হয়। গরীব নেওয়াজ ক্লিনিক থেকে একপ্রকার মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে খুলনা সিটি মেডিকেলে নেওয়া হয়। বলা হয় এখানে আইসিইউ নেই। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনেসথেসিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ দিলিপ কুমার কুন্ডু ও গাইনী চিকিৎসক ডাঃ সানজিদা হুদা সুইটির অবহেলা এবং গরীব নেওয়াজ ক্লিনিকের অব্যবস্থপনার জন্য মৃত্যু হয়েছে। নাগরিক নেতৃবৃন্দ, তদন্তপূর্বক দোষী চিকিৎসক এবং ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।