নওয়াপাড়া অফিস : দুই কন্যা সন্তানের মা গৃহবধূ কাকলী বেগম (২৮)। গত ২ এপ্রিল যশোরের অভয়নগর উপজেলার রাজঘাট স্বামীর বাড়ি থেকে ওই তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতর পরিবারের দাবি শ^শুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুঁলিয়ে রাখে।
কাকলীর বাবা শহীদ শেখ বলেন, বিয়ের পর থেকেই জামাই শামীম কাজী ও তার পরিবার নানা অযুহাতে যৌতুক দাবি করতো। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জায়গা জমি সম্পদ বিক্রয়সহ ধার-দেনা করে বিভিন্ন সময়ে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দেয়া হয়েছে। আবারও ১ লক্ষ টাকা নেয়ার জন্য গত বছরের ২৪ অক্টোবর আমার মেয়েকে তার দুই সন্তানসহ আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমি টাকা দিতে রাজি না হলে মেয়েকে আমার কাছে রেখে যায়। কিন্তু যৌতুকের টাকা না পেয়ে তারা প্রতিনিয়িত কাকলীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। এরই মধ্যে গত ২ এপ্রিল পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করে আমাদেরকে খবর দেয়। এবং লাশ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রেখে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করে।
কাকলীর ভাই ইয়াসিন শেখ বলেন, কাকলীর শ^শুর বাড়ির লোকজন ঐদিন সকাল ৭ টায় মৃত্যুর খবর দেয়। আমরা দূরের থেকে এসে পৌঁছানোর আগেই আমার বোনের লাশ তাড়াতাড়ি করে থানায় নেয়া হয়। এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। আমরা স্থানীয় অভয়নগর থানায় অভিযোগ করতে চাইলেও পুলিশ তা আমলে নেয়নি। এছাড়া, কোন ব্যাপারে পুলিশ আমাদের সামান্যতম সহযোগিতা করেননি। উল্টো হত্যাকারীদের প্রশ্রয় দিয়েছেন। আমার বোনের মৃত্যুর সুষ্ট তদন্ত করে বিচার দাবি করছি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৃত কাকলির শ^শুর সোহরাব কাজীর কাছে বার বার ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কাকলীর মৃত্যু ও ময়না তদন্ত ব্যাপারে জানতে চাইলে অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল বলেন, লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট এখনো আসেনি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।