
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি : খুলনা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ হিসাবে মো. কামাল হোসেন খান যোগদানের পর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারসহ অপরাধ দমনে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে অপরাধিচক্র। সদর থানা পুলিশের একের পর এক বিশেষ অভিযান সফল হয়ে উদ্ধার করা হয়েছে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য, গ্রেফতার হয়েছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। বিগত সময়ের থেকে বর্তমানে খুলনা সদর থানা এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি অনেক ভালো এমনটাই দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
অপরদিকে খুলনা সদর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের বিভিন্ন হোটেলে বিশেষ অভিযান পরিচালন করেন। অভিযানে হোটেলের বিভিন্ন কক্ষ থেকে অসামাজিক কার্যকালাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় চার জন নারী ও চারজন পুরুষ সহ ৮জনকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো খুলনার বটিয়াঘাটার কবির মোল্যার পুত্র বাসির মোল্যা (১৮), নড়াইল জেলার কালিয়া থানার আনোয়ার মোল্যার পুত্র আরিফুল মোল্যা (১৮), একই এলাকার আকসির শিকদারের পুত্র সজল আহমেদ (১৯), খুলনার পাইকগাছার নিখিল সরদারের পুত্র হৃদয় সরকার, খুলনার দৌলতপুর থানার দেয়ানা গ্রামের মিজানের কন্যা স্বপ্না (২৫), চুনির বটতলার আনসার সরদারের কন্যা প্রিয়া (২২), যশোর জেলার অভয়নগর থানার আইয়ুব আলীর কন্যা মেঘলা (২২) এবং পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার গরঘাটা গ্রামের আকতার খন্দকারের কন্যা রাকা (২৮) কে গ্রেফতার করে পৃথক পৃথক বিজ্ঞ আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে।
খুলনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন খান বলেন, আমি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে অপরাধীর সঙ্গে কোন আপোষ করিনা। মাদকে সঙ্গে জিরোটলারেন্স নীতিতে থাকায় আমি এবং আমার সঙ্গীয় অফিসারগণ মাদক ও অপরাধ দমনে অনেকটা সফল বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন থানার সকল অফিসার এবং সদস্যদের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং দায়িত্বশীলতার কারনে অপরাধ দমনে সফলতা আসছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।