মোল্লা আব্দুর রব, বাগেরহাট : বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র এমপি শেখ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যায়। আর বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে হাওয়া ভবন করে লুটপাট আর দুর্নীতির করে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে। মোংলা বন্দর বন্ধ করে দেয়, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দেয়া সেই মোংলা বন্দর চালু করে লাভজনক বন্দরে রূপান্তর করে। বুধবার বাগেরহাট জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সম্মেলন উদ্ধোধনী বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, সময় এসেছে নিজেদের পরিবর্তন করার। ত্যাগী নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করার। চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজিদের দল থেকে বহিষ্কার করা। মানুষকে অত্যাচার নিপীড়ন করা যাবেনা। বরং কোথাও অত্যাচার-অবিচার দেখলে তার প্রতিবাদ করতে হবে। কোনো চাঁদাবাজ টেন্ডারবাজদের যুবলীগে স্থান হবেনা। কোন সাংগঠনিক পদ ব্যাক্তিগত কারে ব্যাবহার করা যাবেনা। সৎ ও যোগ্য নের্তৃত্বের মাধ্যমে সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।
এমপি তন্ময় তার বক্তব্যে বলেন, আমার ভাই শেখ ফজলে শামস পরশ যুবলীগ চেয়ারম্যান হওয়ায় যুব ও তরুন সমাজ আজ উদ্বেলিত। যুবলীগ আজ অতীতের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী। বিএনপি-জামায়াত এখন পিছনের দরজা দিয়ে অগণতান্ত্রিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে চায়। ওদের অগণতান্ত্রিক তৎপরতা রুখে দিতে যুব সমাজকে রাজপথে তৎপর থাকতে হবে।
এদিকে দীর্ঘ ১৬ বছর পর সম্মেলনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। সম্মেলন ঘিরে সকাল থেকে গোটা শহর মিছিলের শহরে পরিণত হয়। বিভিন্ন উপজেলাগুলো থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সম্মেলন স্থলে জড়ো হন।
বুধবার বিকাল ৩টায় বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে বাগেরহাট জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র এমপি শেখ হেলাল উদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল। জেলা যুবলীগের আহবায়ক সরদার নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, এমপি শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, বন পরিবেশ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময়, এমপি এড: আমিরুল আলম মিলন, এড: মীর শওকাত আলী বাদশা, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেল উদ্দিন, এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, ভূইয়া হেমায়েত উদ্দিন, সুব্রত পাল, সাইফুল আলম সোহাগ, জয়দেব নন্দি, জহিরুল ইসলাম, বিপ্লব মোস্তাফিজ, মো: রফিকুল ইসলাম, মৃনাল কান্তি জোতদারসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলন শেষে জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে সরদার নাসির উদ্দীনকে এবং মীর জায়েস্রি আশ্রাফি জেমসকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। খুব শীঘ্রই ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানা যায়।