জন্মভূমি ডেস্ক : নির্বাচন নিয়ে চাপ দেওয়ার অধিকার কারও নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের জন্য নির্বাচন আচরণবিধি প্রযোজ্য, বিএনপির জন্য প্রযোজ্য নয়।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জামালপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে আগে সকাল ১০টায় রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ নির্বাচনের সাথে জড়িত সব কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মসূচি অনুমতি না দেওয়া এবং বিএনপির কর্মসূচি বহাল থাকার বিষয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আছে তাই নির্বাচন আচরণবিধি প্রযোজ্য। বিএনপি আমাদের কাছে অনুমতি চায়নি, সভা সমাবেশের জন্য পুলিশের অনুমতি চাইতে পারে। ওটা পুলিশের বিষয়। পুলিশ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছে, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যস্ততা বাড়বে এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের কারণও হতে পারে, তাই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর করতে কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। কে নির্বাচনে আসলো কে আসলো না তা নিয়ে কমিশনের কিছু করার নেই। নির্বাচন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের নিয়ম মেনে সবকিছু করার সুযোগ থাকবে। নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করা হলে সেসব বিষয় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কোনো চাপ আছে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপ দেওয়ার অধিকার কারও নেই। আমাদের ওপর কোনো চাপও নেই। বিদেশিরা আমাদের কাছে জানতে চায়, যেভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং সুন্দর হয় সেসব পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি কি না।
নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের কারণগুলো অনেকেই ভালোভাবে জানেন না, কী করলে আচরণবিধি ভঙ্গ হয়। সেসব বিষয় অনেকেই যেহেতু ভালোভাবে জানেন না, তাই যেনতেনভাবে অভিযোগ করা হয়। অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী শাস্তি নির্ধারণ করা হয়। একজন প্রার্থী কী অপরাধ করলে কী শাস্তি পাবে তা ভালোভাবে না জেনে আমরা বলতে পারি না বলে জানান তিনি। এসময় তিনি বলেন তিনি নিজেও আচরণবিধি ভঙ্গের কারণগুলো ভালোভাবে জানেন না।