
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) থেকে সাতক্ষীরার সুমিষ্ট হিমসাগর আম বাজারে এসেছে। বাগান মালিকরা গাছ থেকে আম পাড়তে শুরু করেছেন। অনেকে গাছতলা থেকেই আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন বাগান থেকে একযোগে আম আশায় সয়লাব হয়ে পড়ছে বাজার।
এর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরার হিমসাগর আম বাজারজাতকরণের তারিখ ২০ মে থেকে এগিয়ে আজ ১৫ মে করা হয়। চাষি ও ব্যবসায়ীসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ব্যবস্থাপনায় জেলার বিভিন্ন বাগানে আম পাড়ার ধুম পড়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে ঝুড়ি ঝুড়ি আম উঠছে সাতক্ষীরার বড়বাজারে। এরই মধ্যে জেলার বাইরের ক্রেতারাও আসতে শুরু করেছেন সাতক্ষীরার খ্যাতনামা আম কিনতে। তার উপর সামনে ঘূর্ণিঝড় শক্তির আতঙ্কে বাগান মালিকরা গাছে আর আম রাখতে পারছেন না।
স্থানীয় বাজারগুলোতে দেখা গেছে, গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাইসহ স্থানীয় জাতের আমে সয়লাব।
তবে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম পড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রজব আলী বলেন, ‘ক্রেতার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কম। সামনে ক্রেতা বাড়লে দামও বাড়বে।’
চাষিরা বলছেন, এবার আমের ফলন তুলনামূলক কম হলেও সাইজ বড় হওয়ায় তারা লাভের আশা করছেন। বাজার মনিটরিং জোরদারের দাবি জানিয়েছেন তারা, যেন দালাল ও সিন্ডিকেটের কবলে না পড়তে হয়।
এক আমচাষী বলেন, ‘বাজারে দালালদের কারণে আমরা ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। আমরা চাই প্রশাসন যেন সরাসরি বাজার মনিটর করে।’
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, ‘আমের গুণগত মান বজায় রেখে এবার নিরাপদ আম বাজারে এসেছে। কোনো রকম সিন্ডিকেট বা দালালের কবলে পড়বেন না চাষিরা, সেজন্য প্রশাসন বাজার মনিটর করবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, সাতক্ষীরার ৫ হাজার ২৯৯টি আমবাগানে এ বছর আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন।